
হত্যা মামলার আসামিদের বাড়িতে দফায় দফায় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আসামিদের স্বজনরা ,হুমকির মুখে পরিবারের নারী ও শিশু সদস্যরা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত (৩০ এপ্রিল) বুধবার জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে উপজেলার দুর্বাটি গ্রামের ইসমাইল হোসেন (৪০) গুরুতর আহত হন পরে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন ।। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় ৬\৭ জনের নামে হত্যা মামলা হয়। মামলার পর থেকে আসামিরা গ্রেপ্তারের ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এর পরই হত্যা মামলার আসামি ও তাদের স্বজনদের বাড়িতে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট হয়।
স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য, এই সুযোগে বাদীপক্ষের লোকজন, স্থানীয় মাদকসেবী ও সন্ত্রাসীদের নেতৃত্বে আসামিদের বাড়িতে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। আজ এসব ঘটনায় হত্যা মামলার আসামি গোলজার মাষ্টার এর মেয়ে পলি আক্তার ৩০মে শুক্রবার ৭ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরোদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। বর্তমানে হত্যা মামলার আসামির স্বজনরা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
হত্যা মামলার আসামি পক্ষের কয়েকজন স্বজন বলেন, সংঘর্ষে ইসমাইল মিয়া মারা যাওয়ার পর তাঁর পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের ঘরবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েই যাচ্ছেন। পলি আক্তার বলেন, প্রাণ রক্ষার্থে তাঁরা এখন বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুরুষ মানুষ বাড়িতে না থাকায় আমাদের (প্রায় ৫২লাখ টাকার) বসতঘরের আসবাব, স্বর্ণালংকার, ধান, চাল, ছাগল যা কিছু আছে সব লুটপাট করে নিয়ে যান। তাঁরা এখন স্বজনদের বাড়িতে থাকছেন।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, ইসমাইল হত্যা মামলার আসামিদের বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক জড়িতদের বিরুেদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।