
পবিত্র ঈদুল আজহা কে সামনে রেখে যাত্রী ও কোরবানির পশুবাহী যানবাহনের নির্বিঘ্ন পারাপারে রাজবাড়ী জেলা গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে চলাচল করবে ১৭টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চপশুবাহী ট্রাক পারাপারে থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা।
শনিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঈদের সময় ঘাট ব্যবস্থাপনা ও নৌযান চলাচল সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়। বিআই ইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখা সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোঃ সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমাদের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে রো রো (বড়) ফেরি ৯টি, মিডিয়াম টাইপ ফেরি ৩টি ও ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি ৫টিসহ বহরে মোট ১৭টি ফেরি থাকবে। এ ছাড়াও দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩, ৪ ও ৭ নম্বরসহ মোট ৩টি ঘাট সচল থাকবে। এ ছাড়াও ঈদুল আজহার আগে পানি বাড়লে আরেকটি ফেরিঘাট চালু করা হবে। ১৭টি ফেরি ও ৩টি ঘাটের মাধ্যমে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে পারাপার হতে পারবে। তিনি আরো বলেন, পশুবাহী ট্রাক বিশেষ ভাবে পার করা হবে। পশুবাহী ট্রাকগুলো ঘাটে এসে সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারবে। যাত্রীবাহী বাস ও পশুবাহী ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হবে।
বিআইডব্লিউটিএর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) সাগর মল্লিক বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। আরিচা-কাজিরহাট রুটে ১৩টি লঞ্চ চলাচল করবে। পাটুরিয়া প্রান্তে ৩টি ও দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩টি ঘাট সচল রয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। থানা পুলিশ, সাদা পোশাকে পুলিশ, ডিবি পুলিশসহ একাধিক টিম থাকবে। এ ছাড়াও নৌপুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা পুলিশ সর্বদা মাঠে থাকবে। জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসন কাজ করবে। যাত্রীরা যেন স্বস্তিতে ঈদে বাড়িতে ফিরতে পারেন সে লক্ষ্যে প্রশাসন কাজ করবে। ঈদের দিনসহ ঈদের আগের তিন দিন ও ঈদের পর আরও সাত দিন নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। সন্ধ্যায় নদী পথে পশুবাহী ট্রলার থাকবে না। প্রত্যেকটি পশুবাহী ট্রলারে গন্তব্য স্থানের নাম লেখা থাকতে হবে। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনও বন্ধ থাকবে। এ ছাড়াও পশুবাহী ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হবে। দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঈদের আগে ও পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। যাত্রীদের থেকে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা যেন অতিরিক্ত ভাড়া না নিতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট থাকবে। তিনি আরও বলেন, দৌলতদিয়া ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ ছাড়া টার্মিনালে যানবাহনের ভাড়ার চার্ট দৃশ্যমান থাকবে। এ ছাড়াও সচেতনতামূলক প্রচারের জন্য ঘাট এলাকায় বিভিন্ন ব্যান্যার থাকবে। ঈদে ঘরমুখো মানুষ সঠিক ভাবে যাত্রা করতে পারে সেই আশা ব্যক্ত করে সকালের সহযোগিতা কামনা করেন।