Dhaka 10:36 am, Friday, 18 July 2025

কুড়িগ্রামের এসপির নির্দেশে সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও-ছবি মুছে ফেলার অভিযোগ

কুড়িগ্রামে চিলমারী উপজেলায় পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমানের নির্দেশে এক সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও-ছবি মুছে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটে বলা জানিয়েছে ভুক্তভোগী সাংবাদিক।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার চিলমারী-হরিপুর তিস্তা সেতু এলাকায় মা-মেয়েকে উত্যক্তের অভিযোগে কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার পর রাত সাড়ে ১০টার দিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান।

তখন স্বদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি ও চিলমারী সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাদ্দাম ছবি ও ভিডিও করতে গেলে পুলিশ সুপার ফোন কেড়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ সুপারের দেহরক্ষী ওই সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নিয়ে ধারণ করা ভিডিও মুছে ফেলেন। এ সময় ওই সাংবাদিককে উদ্দেশ করে ‘মিডিয়া ছুটাই দেব’ এমন মন্তব্যও করেন তিনি।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম-ও এমনটা জানিয়েছেন। এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানকে একাধিকবার কল ও মেসেজ পাঠিয়েও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান জানান, কোনও সরকারি কর্মকর্তা সাংবাদিকের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করতে পারে না। এজন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

চিলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেছেন, সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নেয়ার ঘটনা তার জানা নেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বরেন্দ্র সচেতন সমাজ’র উদ্যোগে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

কুড়িগ্রামের এসপির নির্দেশে সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও-ছবি মুছে ফেলার অভিযোগ

Update Time : 10:14:32 pm, Friday, 11 April 2025

কুড়িগ্রামে চিলমারী উপজেলায় পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমানের নির্দেশে এক সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও-ছবি মুছে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটে বলা জানিয়েছে ভুক্তভোগী সাংবাদিক।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার চিলমারী-হরিপুর তিস্তা সেতু এলাকায় মা-মেয়েকে উত্যক্তের অভিযোগে কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার পর রাত সাড়ে ১০টার দিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান।

তখন স্বদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি ও চিলমারী সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাদ্দাম ছবি ও ভিডিও করতে গেলে পুলিশ সুপার ফোন কেড়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ সুপারের দেহরক্ষী ওই সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নিয়ে ধারণ করা ভিডিও মুছে ফেলেন। এ সময় ওই সাংবাদিককে উদ্দেশ করে ‘মিডিয়া ছুটাই দেব’ এমন মন্তব্যও করেন তিনি।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম-ও এমনটা জানিয়েছেন। এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানকে একাধিকবার কল ও মেসেজ পাঠিয়েও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান জানান, কোনও সরকারি কর্মকর্তা সাংবাদিকের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করতে পারে না। এজন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

চিলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেছেন, সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নেয়ার ঘটনা তার জানা নেই।