Dhaka 2:51 pm, Friday, 11 July 2025

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সালথা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি

আবুল বাসার,সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা জানিয়েছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলা প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সভাপতি চৌধুরী মাহমুদ আশরাফ (টুটু)। সম্প্রতি সালথা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হবার পর বেশ কয়েকটি পত্রিকায় চৌধুরী মাহমুদ আশরাফ (টুটু) কে জড়িয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদের বিষয়ে মুখ খোলেন তিনি।

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে টুটু চৌধুরী বলেন, সালথা প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি মোঃ সেলিম মোল্লা উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি। গত ৫ আগষ্টের পর থেকে সেলিম মোল্যা গা ঢাকা দেন এবং ক্লাবের সদস্যদের কোন খোঁজ খবর নেন না। তাছাড়া সাধারণ সম্পাদক সালথা উপজেলা পরিষদের ভাংচুরের কয়েকটি মামলার আসামি। অন্যান্য সদস্যরা তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছে। তাছাড়া কয়েকজন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সদস্য। বর্তমানে কার্য নির্বাহী কমিটি প্রায় নিস্ক্রিয় বললেই চলে।

এরপর ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা ২০ জন সদস্য ও ১৫ জন কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করি। এরপরই সালথা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ সেলিম মোল্লা আমাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরণের প্রপাগাণ্ডা ছড়াতে থাকে। এতে আমরা কর্ণপাত করি নাই, কারণ সেলিম মোল্যা তার বাবার গায়ে হাত দেওয়া লোক। তবে আজ দুপুরের পর দেখলাম ফরিদপুর প্রেসক্লাবের কয়েকজন সম্মানিত সদস্য সেলিম মোল্লার কাছের লোক আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত এই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আমার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে তার কোনটার সাথে আমি জড়িত নই। আমার ৪৫ বছরের জীবনে এমন কোন অভিযোগ থানায় বা অন্য কোথাও নেই। সালথা উপজেলা প্রেসক্লাবের যে সকল সদস্য আছেন তারা সকলের বৈধ মিডিয়ার কার্ড আছে যা আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। মূলত নতুন কমিটি প্রকাশ করায় সেলিম মোল্লা কয়েকজন মিলে এসকল সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে। তবে স্থানীয়ভাবে তদন্ত করলে এর কোন সত্যতা পাবে না বলে আমার বিশ্বাস করি।

সালথা উপজেলা প্রেসক্লাবের কয়েকজন সদস্য বাদে প্রায় সবাই গ্রাজুয়েট এবং কয়েকজন আছে পোষ্ট গ্রাজুয়েট। যা অন্য কোন ক্লাবে নেই। সম্মানিত সকল সংবাদ কর্মীদের অনুরোধ করবো আপনারা সরেজমিনে এসে তদন্ত করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করবেন। একটা কথা সাংবাদিকতা করতে কোন ক্লাবের সদস্য হওয়া জরুরি না। তাই আমাদের নতুন কমিটি নিয়ে প্রপাগাণ্ডা না ছড়িয়ে আসুন সবাই মিলে মিশে একসাথে কাজ করি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

দীর্ঘদিনের অবহেলায় জনদুর্ভোগ সিঙ্গারবিল টু কাশিনগর সড়ক

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সালথা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি

Update Time : 09:12:25 pm, Thursday, 13 February 2025

আবুল বাসার,সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা জানিয়েছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলা প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সভাপতি চৌধুরী মাহমুদ আশরাফ (টুটু)। সম্প্রতি সালথা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হবার পর বেশ কয়েকটি পত্রিকায় চৌধুরী মাহমুদ আশরাফ (টুটু) কে জড়িয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদের বিষয়ে মুখ খোলেন তিনি।

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে টুটু চৌধুরী বলেন, সালথা প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি মোঃ সেলিম মোল্লা উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি। গত ৫ আগষ্টের পর থেকে সেলিম মোল্যা গা ঢাকা দেন এবং ক্লাবের সদস্যদের কোন খোঁজ খবর নেন না। তাছাড়া সাধারণ সম্পাদক সালথা উপজেলা পরিষদের ভাংচুরের কয়েকটি মামলার আসামি। অন্যান্য সদস্যরা তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছে। তাছাড়া কয়েকজন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সদস্য। বর্তমানে কার্য নির্বাহী কমিটি প্রায় নিস্ক্রিয় বললেই চলে।

এরপর ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা ২০ জন সদস্য ও ১৫ জন কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করি। এরপরই সালথা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ সেলিম মোল্লা আমাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরণের প্রপাগাণ্ডা ছড়াতে থাকে। এতে আমরা কর্ণপাত করি নাই, কারণ সেলিম মোল্যা তার বাবার গায়ে হাত দেওয়া লোক। তবে আজ দুপুরের পর দেখলাম ফরিদপুর প্রেসক্লাবের কয়েকজন সম্মানিত সদস্য সেলিম মোল্লার কাছের লোক আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত এই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আমার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে তার কোনটার সাথে আমি জড়িত নই। আমার ৪৫ বছরের জীবনে এমন কোন অভিযোগ থানায় বা অন্য কোথাও নেই। সালথা উপজেলা প্রেসক্লাবের যে সকল সদস্য আছেন তারা সকলের বৈধ মিডিয়ার কার্ড আছে যা আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। মূলত নতুন কমিটি প্রকাশ করায় সেলিম মোল্লা কয়েকজন মিলে এসকল সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে। তবে স্থানীয়ভাবে তদন্ত করলে এর কোন সত্যতা পাবে না বলে আমার বিশ্বাস করি।

সালথা উপজেলা প্রেসক্লাবের কয়েকজন সদস্য বাদে প্রায় সবাই গ্রাজুয়েট এবং কয়েকজন আছে পোষ্ট গ্রাজুয়েট। যা অন্য কোন ক্লাবে নেই। সম্মানিত সকল সংবাদ কর্মীদের অনুরোধ করবো আপনারা সরেজমিনে এসে তদন্ত করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করবেন। একটা কথা সাংবাদিকতা করতে কোন ক্লাবের সদস্য হওয়া জরুরি না। তাই আমাদের নতুন কমিটি নিয়ে প্রপাগাণ্ডা না ছড়িয়ে আসুন সবাই মিলে মিশে একসাথে কাজ করি।