
গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের অভিযানে চঞ্চল্যকর নজরুল হত্যা মামলার ০২ আসামী গ্রেফতার । হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো ছোল দা, ও একটি স্টিলের ধারালো চাকু, দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ।গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো: রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট থানার দৌলতদিয়া ইউপি হোসেন মন্ডল পাড়া হয় সুলতান মন্ডলের ছেলে আরমান হোসেন ওরফে রনি (৩০), ও একই ইউপির
সোহরাব মন্ডল পাড়ার মৃত আতর আলী মোল্লার
ছেলে ইসমাইল মোল্লা ওরফে ঝড়ু (২০)। শনিবার ২৮ শে জুন এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোয়ালন্দঘাট থানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপারের দিক-নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেলের নেতৃত্বে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সূত্রে উল্লেখিত মামলার আইও, পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত্র) উত্তম কুমার ঘোষ, সঙ্গী ও অফিসার ও ফোর্স সহ ২৭ জুন রাত ২ঃ ১০ দশ মিনিটের দিকে আরমান হোসেন রনিকে ঢাকার গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার এলাকা হইতে গ্রেফতার করা হয়। এবং একই তারিখে সকাল সাড়ে ছয়টায় সময়ের দিকে ঢাকা জেলার সাভার থানার রেডিও কলোনি হইতে ইসমাইল হোসেন ঝড়ুকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম নজরুলের সাথে পূর্ব শত্রুতা জুয়া খেলা কে কেন্দ্র করিয়া তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। আরমান হোসেন রনি মিয়া , মো. ইসমাইল হোসেন ঝড়ু সহ আরো অজ্ঞাতনামা আসামিরা ভিকটিম নজরুলকে হত্যা করে।
হত্যাকান্ডের সহিত জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং গ্রেফতারকৃত আসামী আরমান হোসেন রনির দেখানো মতে হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো ছোল দা, গোয়ালন্দঘাট থানাধীন উত্তর দৌলতদিয়া ইমান খার পাড়া সাকিনস্থ রেল লাইনের পূর্ব পাশে রেলের ডোবার পানির ভিতর হইতে এবং আসামী মো: ইসমাইল মোল্লা ঝড়ুর দেখানো মতে একটি স্টিলের ধারালো চাকু, একই স্হান হইতে এবং আসামীদ্বয়ের দখল হইতে ০২(দুই) টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, হত্যা মামলাসহ রনির বিরুদ্ধে ১৪ টি মামলা ও ইসমাইল মোল্লা ঝড়ু বিরুদ্ধে হত্যা মামলা সহ ৩ টি মামলা আছে ।গ্রেফতারকৃত আসামীদের কে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।