Dhaka 7:17 am, Friday, 18 July 2025

রাজবাড়ী গোয়ালন্দে কৃষ্ণচূড়ার রঙিন ফুলে শোভায়  মেতেছে গোয়ালন্দের পথ

রাজবাড়ী গোয়ালন্দের গ্রাম থেকে শহরের নানা এলাকায় এখন যেন এক স্বপ্নীল লালিমা ছড়িয়ে দিয়েছে কৃষ্ণচূড়া ফুল। বৈশাখের শেষে জৈষ্ঠ মাসের  রোদে যখন প্রকৃতি কিছুটা রুক্ষ, তখনই কৃষ্ণচূড়ার লাল আগুনে ঝলসে ওঠা পাপড়িগুলো যেন মানুষের মনে বয়ে আনছে এক মুহূর্তের প্রশান্তি ও আনন্দ। সকালে কিংবা দুপুরে হোক, উপজেলার আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে অনেকে দল বেঁধে ছুটে আসছেন কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে। কেউ কেউ প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে কাঁটাচ্ছেন কিছু আনন্দঘন সময়। আবার কেউবা ফুলের পেছনে স্মৃতি ধরে রাখতে ব্যস্ত মোবাইল ক্যামেরা হাতে।

তরুণ-তরুণীদের পাশাপাশি মধ্যবয়সী মানুষদেরও দেখা গেছে কৃষ্ণচূড়ার ছায়ায় ছবি তুলতে কিংবা গল্পে মেতে উঠতে। দুপুরের তীব্র রোদ উপেক্ষা করে পথচারী ও কৃষকদের কেউ কেউ গাছের নিচে কিছু সময় বিশ্রামে কাঁটিয়ে নিচ্ছেন। তবে বিকেল হতেই যেন ভিড় বেড়ে যায় কয়েকগুণ। শহরের পার্ক, স্কুল-কলেজ প্রাঙ্গণ, রাস্তার ধারে কিংবা খোলা মাঠে যেখানেই কৃষ্ণচূড়া, সেখানেই যেন মানুষের মেলা। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই উপভোগ করছেন ফুলের মিতালীতে।

স্থানীয় একাধিক প্রবীণ নাগরিকরা জানান, প্রতি বছরই এই সময়টাতে কৃষ্ণচূড়ার এমন রঙিন দৃশ্য মন ভালো করে দেয়। এখন তো সবাই এসে ছবি তোলে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে। আমাদের সময় এমন সুযোগ ছিল না, তবে মনটা ঠিক একই ভাবে ভালো হয়ে যেত। তাঁরা জানান, বৈশাখের বৃষ্টি বিহীন প্রখন্ড রোদে কৃষ্ণতলা এসে মন ও শরীর জুড়িয়ে যায়। অনেক কৃষক গামছা বিছিয়ে একটু বিশ্রাম নেয়। অনেকে ঘুম পারে।

সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের ছাত্রী শান্তা নামের এক কিশোরী বলেন, কলেজ থেকে বাসায় আসার সময় কৃষ্ণতলায় একটু বিশ্রাম নেই, মনে হয় আমাদের প্রতিদিনের রুটিন।   শুধু  গোয়ালন্দ শহর নয় গ্রাম  অঞ্চলের অনেক  এলাকায় কৃষ্ণচুড়া ফুলের লাল রঙের  হাসি দিচ্ছে। উপজেলার উজানচর রিয়াজুদ্দিন পাড়া এলাকায়  গোধুলি পার্কেও সৌন্দর্য ছড়িয়েছে  এই ফৃঞ্চচূড়া ফুল। গোধূলি পার্কে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী ও স্কুল কলেজের ছাত্র রা বলেন  বিকেলে সময় পেলে মন ভালো করতে কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে আসার বিকল্প কি হতে পারে। তাই সময়-সুযোগ পেলে ছুটে

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বরেন্দ্র সচেতন সমাজ’র উদ্যোগে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

রাজবাড়ী গোয়ালন্দে কৃষ্ণচূড়ার রঙিন ফুলে শোভায়  মেতেছে গোয়ালন্দের পথ

Update Time : 07:57:53 pm, Wednesday, 21 May 2025

রাজবাড়ী গোয়ালন্দের গ্রাম থেকে শহরের নানা এলাকায় এখন যেন এক স্বপ্নীল লালিমা ছড়িয়ে দিয়েছে কৃষ্ণচূড়া ফুল। বৈশাখের শেষে জৈষ্ঠ মাসের  রোদে যখন প্রকৃতি কিছুটা রুক্ষ, তখনই কৃষ্ণচূড়ার লাল আগুনে ঝলসে ওঠা পাপড়িগুলো যেন মানুষের মনে বয়ে আনছে এক মুহূর্তের প্রশান্তি ও আনন্দ। সকালে কিংবা দুপুরে হোক, উপজেলার আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে অনেকে দল বেঁধে ছুটে আসছেন কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে। কেউ কেউ প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে কাঁটাচ্ছেন কিছু আনন্দঘন সময়। আবার কেউবা ফুলের পেছনে স্মৃতি ধরে রাখতে ব্যস্ত মোবাইল ক্যামেরা হাতে।

তরুণ-তরুণীদের পাশাপাশি মধ্যবয়সী মানুষদেরও দেখা গেছে কৃষ্ণচূড়ার ছায়ায় ছবি তুলতে কিংবা গল্পে মেতে উঠতে। দুপুরের তীব্র রোদ উপেক্ষা করে পথচারী ও কৃষকদের কেউ কেউ গাছের নিচে কিছু সময় বিশ্রামে কাঁটিয়ে নিচ্ছেন। তবে বিকেল হতেই যেন ভিড় বেড়ে যায় কয়েকগুণ। শহরের পার্ক, স্কুল-কলেজ প্রাঙ্গণ, রাস্তার ধারে কিংবা খোলা মাঠে যেখানেই কৃষ্ণচূড়া, সেখানেই যেন মানুষের মেলা। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই উপভোগ করছেন ফুলের মিতালীতে।

স্থানীয় একাধিক প্রবীণ নাগরিকরা জানান, প্রতি বছরই এই সময়টাতে কৃষ্ণচূড়ার এমন রঙিন দৃশ্য মন ভালো করে দেয়। এখন তো সবাই এসে ছবি তোলে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে। আমাদের সময় এমন সুযোগ ছিল না, তবে মনটা ঠিক একই ভাবে ভালো হয়ে যেত। তাঁরা জানান, বৈশাখের বৃষ্টি বিহীন প্রখন্ড রোদে কৃষ্ণতলা এসে মন ও শরীর জুড়িয়ে যায়। অনেক কৃষক গামছা বিছিয়ে একটু বিশ্রাম নেয়। অনেকে ঘুম পারে।

সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের ছাত্রী শান্তা নামের এক কিশোরী বলেন, কলেজ থেকে বাসায় আসার সময় কৃষ্ণতলায় একটু বিশ্রাম নেই, মনে হয় আমাদের প্রতিদিনের রুটিন।   শুধু  গোয়ালন্দ শহর নয় গ্রাম  অঞ্চলের অনেক  এলাকায় কৃষ্ণচুড়া ফুলের লাল রঙের  হাসি দিচ্ছে। উপজেলার উজানচর রিয়াজুদ্দিন পাড়া এলাকায়  গোধুলি পার্কেও সৌন্দর্য ছড়িয়েছে  এই ফৃঞ্চচূড়া ফুল। গোধূলি পার্কে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী ও স্কুল কলেজের ছাত্র রা বলেন  বিকেলে সময় পেলে মন ভালো করতে কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে আসার বিকল্প কি হতে পারে। তাই সময়-সুযোগ পেলে ছুটে