Dhaka 2:15 am, Tuesday, 8 July 2025

বাঁচতে চান নাগরপুরের জহিরুল দেওয়ান

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের গয়াহাটা পূর্বপাড়া গ্রামের কৃতি সন্তান জহিরুল দেওয়ান, পিতা মোঃ রবিউল দেওয়ান, বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তিনি গয়াহাটা বেগম খোদেজা দাখিল মাদ্রাসায় দপ্তরি পদে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু গুরুতর অসুস্থ হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়ে বাড়িতে শয্যাশায়ী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।

জহিরুল দেওয়ান জানান, আমার অসুস্থতার শুরু ২০২২ সালে। প্রথমে ছোটখাটো পেটের সমস্যা দিয়ে শুরু হয়েছিল। পরে অবস্থার অবনতি হলে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ে আমি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত।

তিনি আরও বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে এই রোগে ভুগছি। এখন দুর্বল হয়ে পড়েছি, স্বাভাবিক চলাফেরা বা কাজকর্ম করতে পারি না। প্রতিনিয়ত শরীর ভেঙে পড়ছে।

চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি জানান, চিকিৎসকরা বলেছেন উন্নত চিকিৎসা ছাড়া সুস্থ হওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে বাসায় থেকেই ওষুধ সেবন চলছে। কিন্তু অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। উন্নত হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।

চিকিৎসার ব্যয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ডাক্তারদের ধারণা, পুরো চিকিৎসায় আনুমানিক ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে। কিন্তু এত টাকা জোগাড় করা আমাদের পরিবারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জহিরুলের সংসারে আছেন স্ত্রী পারভিন আক্তার  (৩৫) এবং দুটি সন্তান। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরিবারটি চরম দুঃসময়ের মধ্যে পড়েছে।

অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিনের ওষুধ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা সব মিলিয়ে বিশাল খরচ। অর্থাভাবে চিকিৎসার ধারাবাহিকতা ঠিক রাখা যাচ্ছে না। প্রতিটি মুহূর্ত যেন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ।

দেশবাসীর প্রতি আকুল আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যদি একটু সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে হয়তো আমি সুস্থ হয়ে আবার আমার সন্তানদের নিয়ে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে পারবো।

তার স্ত্রী পারভিন আকতার কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, আমার স্বামীর অবস্থা খুবই খারাপ। চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারছি না। দুইটি সন্তান রয়েছে, তাদের ভবিষ্যত নিয়ে প্রতিনিয়ত চিন্তায় আছি। এখন আর সংসার চালানোও কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের জীবন থমকে গেছে। মানুষের সহযোগিতা ছাড়া আমরা আর বাঁচতে পারবো না। আমি সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি, দয়া করে আমাদের পাশে দাঁড়ান।

এদিকে, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, নাগরপুর উপজেলা ইউনিট বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নজরে এনে জহিরুল দেওয়ানের চিকিৎসা সহায়তার জন্য সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে সমাজের সকল স্তরের মানবিক মানুষদের প্রতি জহিরুল দেওয়ানের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, জহিরুল দেওয়ান অত্যন্ত পরিশ্রমী ও সৎ মানুষ। শারীরিক অসুস্থতা থাকা সত্ত্বেও তিনি পরিবার চালানোর চেষ্টা করছেন। তার চিকিৎসার জন্য সকল হৃদয়বান মানুষের কাছে আমি সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি। একটি অসহায় পরিবারের ভবিষ্যত আজ আমাদের সহানুভূতির উপর নির্ভর করছে।

সাহায্য পাঠানোর জন্য যোগাযোগ করুন:
মোবাইল নাম্বারঃ 01728431898
বিকাশ পারসোনালঃ 01728431898
অগ্রণী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বারঃ 0200018862804

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ডিমলায় রাস্তার কাজ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

বাঁচতে চান নাগরপুরের জহিরুল দেওয়ান

Update Time : 05:44:37 pm, Monday, 28 April 2025

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের গয়াহাটা পূর্বপাড়া গ্রামের কৃতি সন্তান জহিরুল দেওয়ান, পিতা মোঃ রবিউল দেওয়ান, বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তিনি গয়াহাটা বেগম খোদেজা দাখিল মাদ্রাসায় দপ্তরি পদে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু গুরুতর অসুস্থ হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়ে বাড়িতে শয্যাশায়ী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।

জহিরুল দেওয়ান জানান, আমার অসুস্থতার শুরু ২০২২ সালে। প্রথমে ছোটখাটো পেটের সমস্যা দিয়ে শুরু হয়েছিল। পরে অবস্থার অবনতি হলে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ে আমি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত।

তিনি আরও বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে এই রোগে ভুগছি। এখন দুর্বল হয়ে পড়েছি, স্বাভাবিক চলাফেরা বা কাজকর্ম করতে পারি না। প্রতিনিয়ত শরীর ভেঙে পড়ছে।

চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি জানান, চিকিৎসকরা বলেছেন উন্নত চিকিৎসা ছাড়া সুস্থ হওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে বাসায় থেকেই ওষুধ সেবন চলছে। কিন্তু অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। উন্নত হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।

চিকিৎসার ব্যয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ডাক্তারদের ধারণা, পুরো চিকিৎসায় আনুমানিক ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে। কিন্তু এত টাকা জোগাড় করা আমাদের পরিবারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জহিরুলের সংসারে আছেন স্ত্রী পারভিন আক্তার  (৩৫) এবং দুটি সন্তান। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরিবারটি চরম দুঃসময়ের মধ্যে পড়েছে।

অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিনের ওষুধ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা সব মিলিয়ে বিশাল খরচ। অর্থাভাবে চিকিৎসার ধারাবাহিকতা ঠিক রাখা যাচ্ছে না। প্রতিটি মুহূর্ত যেন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ।

দেশবাসীর প্রতি আকুল আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যদি একটু সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে হয়তো আমি সুস্থ হয়ে আবার আমার সন্তানদের নিয়ে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে পারবো।

তার স্ত্রী পারভিন আকতার কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, আমার স্বামীর অবস্থা খুবই খারাপ। চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারছি না। দুইটি সন্তান রয়েছে, তাদের ভবিষ্যত নিয়ে প্রতিনিয়ত চিন্তায় আছি। এখন আর সংসার চালানোও কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের জীবন থমকে গেছে। মানুষের সহযোগিতা ছাড়া আমরা আর বাঁচতে পারবো না। আমি সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি, দয়া করে আমাদের পাশে দাঁড়ান।

এদিকে, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, নাগরপুর উপজেলা ইউনিট বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নজরে এনে জহিরুল দেওয়ানের চিকিৎসা সহায়তার জন্য সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে সমাজের সকল স্তরের মানবিক মানুষদের প্রতি জহিরুল দেওয়ানের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, জহিরুল দেওয়ান অত্যন্ত পরিশ্রমী ও সৎ মানুষ। শারীরিক অসুস্থতা থাকা সত্ত্বেও তিনি পরিবার চালানোর চেষ্টা করছেন। তার চিকিৎসার জন্য সকল হৃদয়বান মানুষের কাছে আমি সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি। একটি অসহায় পরিবারের ভবিষ্যত আজ আমাদের সহানুভূতির উপর নির্ভর করছে।

সাহায্য পাঠানোর জন্য যোগাযোগ করুন:
মোবাইল নাম্বারঃ 01728431898
বিকাশ পারসোনালঃ 01728431898
অগ্রণী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বারঃ 0200018862804