
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে মালিক ও সুপারভাইজার এর নির্দেশে কোন প্রকার নিরাপত্তার বেষ্টনী বিহীন তেলের ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ৩ প্রবাসী তেলের ট্যাংকের ভিতরেই মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে আজমান এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এই মৃত্যু নিয়ে পরিবার মালিকপক্ষের অবহেলা, নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে চাপপ্রয়োগ করে কাজে পাঠানোর অভিযোগ করেন।
নিহত শাওন (২২) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় উপজেলার আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ছোট কুড়িপাইকা গ্রামের মো. আউয়াল মিয়ার ছেলে। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই গ্রামের নাহিদ ও নোয়াখালীর মাসুদ নামে একজনের মৃত্যু হয়।
নিহত শাওনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দুই বছর আগে জীবিকার তাগিদে আরব আমিরাতে পাড়ি জমায় শাওন। নিহত শাওন ও তার বড় ভাই সৌরভ একই কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। শাওন গত ২ মাস আগে ৪০ দিন ছুটি কাটিয়ে নিজ কর্মস্থলে ফিরে যায়। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে শাওনের মৃত্যুর খবর তার বড় ভাই সৌরভ পরিবারকে জানায়।
নিহত শাওনের বাবা মো. আওয়াল মিয়া বলেন, আমার ছেলে কর্মস্থলে মালিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার আটলা গ্রামের ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে মেহেদি হাসান ও তার ইন্ডিয়ান সুপারভাইজারের চাপাচাপিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই জাহাজের তেলের ট্যাংক পরিষ্কার করার সময় অক্সিজেনের সংকটে অচেতন হয়ে মারা যায়। পরে কোষঘার্ড এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডা. তাদের আনুষ্ঠানিক মৃত ঘোষণা করে।
লাশ দেশে পাঠালেও ক্ষতিপূরণ বাবদ কোন টাকাপয়সা না দিয়েই মালিক পক্ষ তালবাহানা শুরু করেছে।
নিহত শাওন এর কোম্পানির মালিক মেহেদী ও তার চাচাতো ভাই ইকবাল হোসেন এর নেতৃত্বে দুবাই একদল ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনীর মাধ্যমে নিহত শাওনের বড় ভাই শুভ কে মারার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে শুভ জানান।
সে আরো বলেন, ডুবাই আমি আমার ভাই এর নিহতের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করার কারনে তারা আমার পিছনে লেগে গেছে। তারা মনে করছে আমাকে গুম,খুন করলেই ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা কেউ পরিচালনা করবে না। তারা ৩ জন নিহতের ক্ষতিপূরণ থেকে মুক্ত হতে পারবে। আমি তাদের এমন অপতৎপরতা জন্য এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সে কোন সময় তারা আমার বড় ক্ষতি করতে পারে। আমি ডুবাই ও বাংলাদেশ সরকারের কাছে নিরাপত্তা ও নিহতদের বিচার দাবী করছি।
মালিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার আটলা গ্রামের মেহেদি হাসানের বাবার ওয়াহিদ মিয়া জানান শুনেছি আমার ছেলের কোম্পানিতে কাজ করতে গিয়ে তিন জন বাঙালির মৃত্যু হয়েছে। এর বাহিরে আমি বিস্তারিত কিছু জানিনাা।