Dhaka 6:56 am, Friday, 18 July 2025

কুড়িগ্রামে তিনটি পরিবারের ঘর,গরু, ছাগল আগুনে পুড়ে ভস্মভূত হয়েছে

কুড়িগ্রামে তিনটি পরিবারের নয়টি ঘর পাঁচটি গরু ও বৃষ্টি ছাগল আগুনে পুড়ে ভস্মভূত হয়েছে।বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত প্রায় ১২ টার সময় কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের শংকর মাধবপুর বিলপাড়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় ওই পরিবারগুলোর ঘরসহ ঘরের যাবতীয় মালামাল ও খড়ের গাধা,নগদ টাকা পয়সাসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়। এতে পাঁচটি গরু ও একটি ছাগল আগুনে ভষ্মভূত হয়। পরিবারগুলো সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ রায় আজ থেকে ২৩ লক্ষ টাকার মত বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিদিনের মতো মিজানুর রহমানের স্ত্রী গরুর গোয়াল ঘরে মশা তাড়ানোর জন্য কয়েল জ্বালিয়ে দেন। আনুমানিক রাত ১২টায় আগুনের তাপে তাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। কখন যে আগুন লেগেছে তা বলতে পারেন না। ঘুম থেকে জেগে দেখে তার ঘরে আগুনের লেলিহান শিখা দাউ দাউ করে জ্বলতেছে। কিছু ভেবে উঠার আগে তার দুটি ঘর আগুনে গ্রাস করে ফেলে। উপায় না পেয়ে চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকার শুনে বাকি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এবং এলাকাবাসী আগুন নিভানোর জন্য ছুটে আসে। এলাকাবাসী স্থানীয়ভাবে আগুন নিভানোর চেষ্টা কালে পার্শ্ববর্তী ফজলুল হক, কাবিল ও রশিদের বসতবাড়ি ও আগুনে বশীভূত হয়ে যায়।

এ সময় আগুনে মিজানুরের ২টি ঘর, নগদ ৬০ হাজার টাকা পুড়ে যাওয়া সহ ১টি গরু অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। কাবেলের ৩টি ঘর পুড়ে যাওয়া সহ ২টি গরু ও ১০টি ছাগল অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। ফজল হকের ২টি ঘর সহ আব্দুল রশিদের ২টি ঘর ও ১২টি ছাগল অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। এছাড়াও প্রত্যেকের ঘরে থাকা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

স্থানীয় সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মোছা: মিনারা বেগম বলেন, আমি আগুন লাগার কথা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে এসেছি। পরিবারগুলো আসলেই নিঃস্ব হয়ে গেছে।বিষয়টি চেয়ারম্যান সাহেবকে অবগত করেছি।ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য দ্রুত সরকারি সহায়তা প্রয়োজন।

রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফজলে এলাহী জানান, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি ইতোমধ্যে আমি অবগত হয়েছি এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন আঁকারে পাঠানো হয়েছে। আশাকরছি খুব দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বরেন্দ্র সচেতন সমাজ’র উদ্যোগে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

কুড়িগ্রামে তিনটি পরিবারের ঘর,গরু, ছাগল আগুনে পুড়ে ভস্মভূত হয়েছে

Update Time : 10:38:30 pm, Saturday, 5 April 2025

কুড়িগ্রামে তিনটি পরিবারের নয়টি ঘর পাঁচটি গরু ও বৃষ্টি ছাগল আগুনে পুড়ে ভস্মভূত হয়েছে।বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত প্রায় ১২ টার সময় কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের শংকর মাধবপুর বিলপাড়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় ওই পরিবারগুলোর ঘরসহ ঘরের যাবতীয় মালামাল ও খড়ের গাধা,নগদ টাকা পয়সাসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়। এতে পাঁচটি গরু ও একটি ছাগল আগুনে ভষ্মভূত হয়। পরিবারগুলো সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ রায় আজ থেকে ২৩ লক্ষ টাকার মত বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিদিনের মতো মিজানুর রহমানের স্ত্রী গরুর গোয়াল ঘরে মশা তাড়ানোর জন্য কয়েল জ্বালিয়ে দেন। আনুমানিক রাত ১২টায় আগুনের তাপে তাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। কখন যে আগুন লেগেছে তা বলতে পারেন না। ঘুম থেকে জেগে দেখে তার ঘরে আগুনের লেলিহান শিখা দাউ দাউ করে জ্বলতেছে। কিছু ভেবে উঠার আগে তার দুটি ঘর আগুনে গ্রাস করে ফেলে। উপায় না পেয়ে চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকার শুনে বাকি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এবং এলাকাবাসী আগুন নিভানোর জন্য ছুটে আসে। এলাকাবাসী স্থানীয়ভাবে আগুন নিভানোর চেষ্টা কালে পার্শ্ববর্তী ফজলুল হক, কাবিল ও রশিদের বসতবাড়ি ও আগুনে বশীভূত হয়ে যায়।

এ সময় আগুনে মিজানুরের ২টি ঘর, নগদ ৬০ হাজার টাকা পুড়ে যাওয়া সহ ১টি গরু অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। কাবেলের ৩টি ঘর পুড়ে যাওয়া সহ ২টি গরু ও ১০টি ছাগল অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। ফজল হকের ২টি ঘর সহ আব্দুল রশিদের ২টি ঘর ও ১২টি ছাগল অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। এছাড়াও প্রত্যেকের ঘরে থাকা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

স্থানীয় সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মোছা: মিনারা বেগম বলেন, আমি আগুন লাগার কথা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে এসেছি। পরিবারগুলো আসলেই নিঃস্ব হয়ে গেছে।বিষয়টি চেয়ারম্যান সাহেবকে অবগত করেছি।ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য দ্রুত সরকারি সহায়তা প্রয়োজন।

রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফজলে এলাহী জানান, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি ইতোমধ্যে আমি অবগত হয়েছি এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন আঁকারে পাঠানো হয়েছে। আশাকরছি খুব দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করা হবে।