
কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে অতীত কালের বাংলার কাঁচারী ঘর। এই কাঁচারী ঘর কোথাও কোথাও বাংলা ঘর নামে পরিচিত ছিল। অতীতে কাঁচারী ঘরে গ্রামের সকল মানুষের ছিল বিভিন্ন রকমের আড্ডা। আগের দিনে প্রতি গ্রামে প্রায় বাড়িতে কাঁচারী দেখা যেত। তবে তখনকার সময়ে গ্রামের মাতব্বর বাড়ীর কাঁচারী ঘরে গ্রামের সকল মানুষ জড়ো হত। এখন আর নেই সেই কাচাঁরী ঘর, বৃষ্টির দিনে নেই আড্ডা বিভিন্ন রকমের খেলাধুলা। শোনা যায় না কিতাব ও কবিতা পড়ার সুর। আরো দেখা যায় না মাতব্বর বাড়ির কাঁচারী ঘরে বসে গন্য মান্য ব্যক্তি ধর্মীয় আলোচনা, সহ বিভিন্ন রকমের আলোচনা ও বিচার শালিস। বর্তমান প্রজন্ম কাঁচারী ঘর তো দুরের কথা এর নামই জানেনা। সরজমিনে দেখা গেছে গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের মজলিসপুর গ্রামের শেষ সীমানা ফরিদপুর জেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের এক গ্রামে
প্রাচীন কালের মাতবর বাড়ী হঠাৎ কাঁচারী ঘর দেখা গেলেও তা অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে। জামির আলী নামক এক বৃদ্ধ বলেন আগের সেই দিন নাই রে বাবা। তিনি আরো বলেন কাঁচারী ঘর তো দুরের কথা নিজেদের থাকার জায়গা হয় না। অতীত কালের এই কাঁচারী ঘর দেখা যায় না বললেই চলে। কিন্তু কাঁচারী ঘর হঠাৎ দেখা গেছে ঐ এলাকার এক মাতব্ব বাড়িতে এখনো কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে।
শেখ আব্দুর রাজ্জাক, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধিঃ 
















