Dhaka 9:34 am, Sunday, 7 December 2025

গণহত্যাকারী হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চব্বিশের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খুনি হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের রায়ে দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। স্বাধীন বিচারব্যবস্থায় এ রায়ে ভুক্তভোগীদের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

সোমবার ১৭’নভেম্বর এক যৌথ বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা যে গণহত্যা চালিয়েছে, তার মূল মাস্টারমাইন্ড ছিল পলাতক ফ্যাসিস্ট হাসিনা। তার নির্দেশে সারা দেশে গণহত্যা চালিয়ে ১৩৩ জন শিশুসহ সহস্রাধিক ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে। আজকের এই রায়ের মাধ্যমে সন্তান, পিতা, স্বামী ও প্রিয়জন হারানো পরিবারগুলোর প্রতি ন্যায়বিচারের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। চূড়ান্ত সুবিচার নিশ্চিত করতে এই রায় কার্যকর করা জরুরি।

শুধু জুলাই গণহত্যাই নয়, বাংলাদেশে ভবিষ্যতে মানবতাবিরোধী অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে হলে ২০০৯ সালের পিলখানা গণহত্যা, আল্লামা সাঈদীর রায়-পরবর্তী গণহত্যা, শাপলা গণহত্যা এবং পল্টন ট্রাজেডিসহ সমস্ত গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যার বিচার নিশ্চিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। পাশাপাশি যেসব ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা ও তা টিকিয়ে রাখতে সম্মতি উৎপাদন করেছে, তাদেরকেও বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।”

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “আজ এই রায় সবার জন্য শিক্ষা। অতীতের কোনো স্বৈরাচার জনগণের বিরুদ্ধে টিকে থাকতে পারেনি; আগামীতেও যারা ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবে, তাদেরও একই পরিণতি ভোগ করতে হবে। আমরা পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ইন্টারপোলের সহযোগিতা এবং বিদ্যমান আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে ঘোষিত রায় দ্রুত কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

আমরা প্রত্যাশা করি, ভারত সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত পলাতক আসামিদের অবিলম্বে প্রত্যর্পণ করে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে অবস্থান নেবে। তা না হলে দুই দেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এবং সেই দায়ভার তাদেরই বহন করতে হবে।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

নাগরপুরে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক সম্বলিত তোরণ নির্মাণ করলেন সাবেক শিবির নেতা মো. কোরবান আলী

গণহত্যাকারী হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

Update Time : 09:00:09 pm, Monday, 17 November 2025

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চব্বিশের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খুনি হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের রায়ে দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। স্বাধীন বিচারব্যবস্থায় এ রায়ে ভুক্তভোগীদের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

সোমবার ১৭’নভেম্বর এক যৌথ বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা যে গণহত্যা চালিয়েছে, তার মূল মাস্টারমাইন্ড ছিল পলাতক ফ্যাসিস্ট হাসিনা। তার নির্দেশে সারা দেশে গণহত্যা চালিয়ে ১৩৩ জন শিশুসহ সহস্রাধিক ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে। আজকের এই রায়ের মাধ্যমে সন্তান, পিতা, স্বামী ও প্রিয়জন হারানো পরিবারগুলোর প্রতি ন্যায়বিচারের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। চূড়ান্ত সুবিচার নিশ্চিত করতে এই রায় কার্যকর করা জরুরি।

শুধু জুলাই গণহত্যাই নয়, বাংলাদেশে ভবিষ্যতে মানবতাবিরোধী অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে হলে ২০০৯ সালের পিলখানা গণহত্যা, আল্লামা সাঈদীর রায়-পরবর্তী গণহত্যা, শাপলা গণহত্যা এবং পল্টন ট্রাজেডিসহ সমস্ত গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যার বিচার নিশ্চিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। পাশাপাশি যেসব ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা ও তা টিকিয়ে রাখতে সম্মতি উৎপাদন করেছে, তাদেরকেও বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।”

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “আজ এই রায় সবার জন্য শিক্ষা। অতীতের কোনো স্বৈরাচার জনগণের বিরুদ্ধে টিকে থাকতে পারেনি; আগামীতেও যারা ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবে, তাদেরও একই পরিণতি ভোগ করতে হবে। আমরা পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ইন্টারপোলের সহযোগিতা এবং বিদ্যমান আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে ঘোষিত রায় দ্রুত কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

আমরা প্রত্যাশা করি, ভারত সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত পলাতক আসামিদের অবিলম্বে প্রত্যর্পণ করে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে অবস্থান নেবে। তা না হলে দুই দেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এবং সেই দায়ভার তাদেরই বহন করতে হবে।”