Dhaka 5:32 pm, Friday, 7 November 2025

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় বিআইডব্লিউটিএ এর টোল আদায়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

রাজবাড়ী জেলাধীন গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে বিআইডব্লিউটিএ’র টোল আদায়ে বছরের পর বছর ধরে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। এ অভিযোগ বিআইডব্লিউটিএ এর কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে দক্ষিণ বঙ্গের জনপ্রিয় নৌরুট দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া। এই নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে ৫০০-৬০০ গাড়ি পারাপার হয়। এর প্রতিটি গাড়ি হতে টোল আদায় করে থাকেন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
এই সুযোগে বিআইডব্লিউটিএ চাকুরীরত কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে কর্মচারীরা সরকার নির্ধারিত টোল মুল্যের চেয়ে প্রতিটি গাড়ি হতে বিভিন্ন অজুহাতে সর্বনিম্ন ৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা পর্যন্ত বেশি আদায় করছে।
এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, বেশির গাড়ির টোল টিকেট না দিয়ে শুধু টাকা নেওয়া হয়। এতে সরকারী টাকা আত্মসাৎ বা ফাঁকি দেওয়ার একটা বড় সুযোগ রয়েছে। যা সম্পুর্ন বেইনি অবৈধ। আইনি বিধি লঙ্ঘন।
আর এই কান্ডের নায়ক হলো গ্রুপ লিডার আবদুল্লাহ। তার নেতৃত্বে দিন শেষে বাড়তি টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিচ্ছে তারা।
এভাবে প্রতিটি গাড়ি হতে যদি সর্বনিম্ন ৫ টাকা করে বেশি আদায় করে তাহলে প্রতিদিন আদায় হয় ২৫০০ টাকা, মাসে আদায় হয় ৭৫ হাজার টাকা, বছরে আদায় হয় ৯ লাখ টাকা। আর যদি প্রতিটি গাড়ি হতে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা করে বেশি আদায় করা হয় তাহলে, প্রতিদিন আদায় হয় ২০ হাজার টাকা,মাসে আদায় হয় ৬ লাখ টাকা, বছরে আদায় হয় ৭২ লাখ টাকা।
প্রকাশ্যে বছরের পর বছর ধরে এই অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটলেও অদৃশ্য কারণে চুপ রয়েছে প্রশাসন।
গাড়ি চালকদের অভিযোগ, ভাংতি নাই অথবা চা খাওয়ার কথা বলে কৌশলে এক প্রকার জোর করেই বিআইডব্লিউটিএ অসাধু কর্মচারীরা এই টাকা আদায় করছেন। কেউ না দিতে চাইলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি সহ নানা ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। বেশিরভাগ সময় গাড়ি আটকে রেখে হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ চালকদের।এবিষয়ে নিজেকে গ্রুপ লিডার দাবী করা আবদুল্লাহ’র সাথে কথা হলে তিনি গাড়ি বাড়তি টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করেছেন। বলেন,ভাংতি না থাকায় আমরা গাড়ি ৫ টাকা করে বেশি নেই। এর বেশি নয়।
এবিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ এর আরিচা শাখার পোর্ট অফিসার সুব্রত রয়’কে মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজী হননি। আর গোয়ালন্দ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাথী দাস বলেন,সরকার নির্ধারিত টোলের বাহিরে বাড়তি টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

কমলগঞ্জে শুরু মণিপুরীদের ১৮৩তম মহারাসলীলা উৎসব শুরু

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় বিআইডব্লিউটিএ এর টোল আদায়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

Update Time : 07:47:35 pm, Monday, 3 November 2025

রাজবাড়ী জেলাধীন গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে বিআইডব্লিউটিএ’র টোল আদায়ে বছরের পর বছর ধরে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। এ অভিযোগ বিআইডব্লিউটিএ এর কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে দক্ষিণ বঙ্গের জনপ্রিয় নৌরুট দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া। এই নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে ৫০০-৬০০ গাড়ি পারাপার হয়। এর প্রতিটি গাড়ি হতে টোল আদায় করে থাকেন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
এই সুযোগে বিআইডব্লিউটিএ চাকুরীরত কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে কর্মচারীরা সরকার নির্ধারিত টোল মুল্যের চেয়ে প্রতিটি গাড়ি হতে বিভিন্ন অজুহাতে সর্বনিম্ন ৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা পর্যন্ত বেশি আদায় করছে।
এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, বেশির গাড়ির টোল টিকেট না দিয়ে শুধু টাকা নেওয়া হয়। এতে সরকারী টাকা আত্মসাৎ বা ফাঁকি দেওয়ার একটা বড় সুযোগ রয়েছে। যা সম্পুর্ন বেইনি অবৈধ। আইনি বিধি লঙ্ঘন।
আর এই কান্ডের নায়ক হলো গ্রুপ লিডার আবদুল্লাহ। তার নেতৃত্বে দিন শেষে বাড়তি টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিচ্ছে তারা।
এভাবে প্রতিটি গাড়ি হতে যদি সর্বনিম্ন ৫ টাকা করে বেশি আদায় করে তাহলে প্রতিদিন আদায় হয় ২৫০০ টাকা, মাসে আদায় হয় ৭৫ হাজার টাকা, বছরে আদায় হয় ৯ লাখ টাকা। আর যদি প্রতিটি গাড়ি হতে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা করে বেশি আদায় করা হয় তাহলে, প্রতিদিন আদায় হয় ২০ হাজার টাকা,মাসে আদায় হয় ৬ লাখ টাকা, বছরে আদায় হয় ৭২ লাখ টাকা।
প্রকাশ্যে বছরের পর বছর ধরে এই অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটলেও অদৃশ্য কারণে চুপ রয়েছে প্রশাসন।
গাড়ি চালকদের অভিযোগ, ভাংতি নাই অথবা চা খাওয়ার কথা বলে কৌশলে এক প্রকার জোর করেই বিআইডব্লিউটিএ অসাধু কর্মচারীরা এই টাকা আদায় করছেন। কেউ না দিতে চাইলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি সহ নানা ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। বেশিরভাগ সময় গাড়ি আটকে রেখে হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ চালকদের।এবিষয়ে নিজেকে গ্রুপ লিডার দাবী করা আবদুল্লাহ’র সাথে কথা হলে তিনি গাড়ি বাড়তি টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করেছেন। বলেন,ভাংতি না থাকায় আমরা গাড়ি ৫ টাকা করে বেশি নেই। এর বেশি নয়।
এবিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ এর আরিচা শাখার পোর্ট অফিসার সুব্রত রয়’কে মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজী হননি। আর গোয়ালন্দ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাথী দাস বলেন,সরকার নির্ধারিত টোলের বাহিরে বাড়তি টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।