Dhaka 5:36 pm, Thursday, 6 November 2025

সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজের সাথে কোন আপোষ নয় – গোয়ালন্দের ওসি মামুন

রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট থানার নতুন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসাবে গত ১২ সেপ্টেম্বর যোগদান করেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন (বিপি- ৮২১১৩৯০৮৮)। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বালিয়াকান্দি থানা হতে এক আদেশে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসাবে যোগদেন।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অফিসার ইনচার্জ মামুন জানান, আইন-শৃঙ্খলা স্বস্তির লক্ষ্যে দেশের স্বার্থে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাব। তিনি জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর নুরাল পাগলের লাশ পোড়ানো যে একাধিক মামলা হয়েছে ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। নিরোপরাধী কেউ হেনস্থার শিকার হবে না।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ  (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মাদক নির্মূল, চোরাচালান দমন ও এলাকার সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। সকলের সহযোগিতায় গোয়ালন্দ থানাকে জনগণের কাছে আরও সেবামুখী করতে কাজ করে যাচ্ছি। ওসি মামুন বলেন, আমি সর্বদা চেষ্টা করছি নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে। মাদক, সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতেও জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা ধরে রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবো। বদলী হয়ে আসার দুই মাসের মধ্যেই নানা ধরনের সামাজিক কাজের মাধ্যমে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন গোয়ালন্দ বাসীর। জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন এই উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার লাখো মানুষের কাছে। বর্তমানে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের আস্থা ও ভরসার জায়গা জুড়ে রয়েছেন ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন। এছাড়াও সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদক মুক্ত করার ব্রুত নিয়ে কাজ করছেন তিনি।গোয়ালন্দ থানার আইনশৃংখলা রক্ষায় মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন। তাঁর  নেতৃত্বে থানাটি ইতিমধ্যে একটি আদর্শ জনবান্ধব পুলিশিংয়ের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি অপরাধ দমনে শুধু কঠোর নন, একই সঙ্গে মানবিক পুলিশিংয়ের মাধ্যমেও জনগণের আস্থা অর্জনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। থানা কার্যক্রমে গতিশীলতা টহল জোরদার ও অপরাধ রোধে পরিকল্পিত পদক্ষেপ তাঁকে থানা বাসীর প্রিয় মুখে পরিণত করেছে।

গোয়ালন্দ থানার অধিনে কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজ, মাদক, ছিনতাই ও সন্ত্রাস প্রায় নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে। ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন  স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিয়েছেন অপরাধীদের ক্ষেত্রে কোন ছাড় নেই। তাঁর এই জিরো টলারেন্স নীতির ফলে গোয়ালন্দ থানা এলাকার রাস্তা ঘাটে রাতেও মানুষের চলাচল নিরাপদ হয়েছে। গোয়ালন্দ থানায় যোগদানের মাত্র দুই মাসের মধ্যেই তিনি সেবার মানে এনেছেন দৃশ্যমান পরিবর্তন। জনগণের অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ ও নির্ভরযোগ্য পুলিশিংয়ের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ জনগণের সেবক, এই বিশ্বাস থেকেই আমি কাজ করি। আমি চাই এমন কিছু করে যেতে, যাতে জনগণ আমাকে মনে রাখে। এই আন্তরিক মনোভাবই তাঁকে আলাদা করেছে অন্যদের থেকে। গোয়ালন্দ থানা এলাকায় এখন নিয়মিত টহল হেল্প ডেস্ক এবং অভিযোগ গ্রহণে প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। নাগরিক সেবাকে সহজতর করার লক্ষ্যে থানায় বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা চালু করা হয়েছে। একই সাথে মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যুদের আইনের আওতায় আনার দৃঢ় বার্তা দিয়েছেন। এক কথায় অপরাধ করলে কেউ রেহাই পাবে না। পরিশেষে সকল স্তরের মানুষের নিকট সহযোগিতা কামনা করেছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

কমলগঞ্জে শুরু মণিপুরীদের ১৮৩তম মহারাসলীলা উৎসব শুরু

সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজের সাথে কোন আপোষ নয় – গোয়ালন্দের ওসি মামুন

Update Time : 05:29:40 pm, Thursday, 6 November 2025

রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট থানার নতুন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসাবে গত ১২ সেপ্টেম্বর যোগদান করেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন (বিপি- ৮২১১৩৯০৮৮)। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বালিয়াকান্দি থানা হতে এক আদেশে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসাবে যোগদেন।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অফিসার ইনচার্জ মামুন জানান, আইন-শৃঙ্খলা স্বস্তির লক্ষ্যে দেশের স্বার্থে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাব। তিনি জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর নুরাল পাগলের লাশ পোড়ানো যে একাধিক মামলা হয়েছে ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। নিরোপরাধী কেউ হেনস্থার শিকার হবে না।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ  (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মাদক নির্মূল, চোরাচালান দমন ও এলাকার সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। সকলের সহযোগিতায় গোয়ালন্দ থানাকে জনগণের কাছে আরও সেবামুখী করতে কাজ করে যাচ্ছি। ওসি মামুন বলেন, আমি সর্বদা চেষ্টা করছি নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে। মাদক, সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতেও জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা ধরে রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবো। বদলী হয়ে আসার দুই মাসের মধ্যেই নানা ধরনের সামাজিক কাজের মাধ্যমে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন গোয়ালন্দ বাসীর। জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন এই উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার লাখো মানুষের কাছে। বর্তমানে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের আস্থা ও ভরসার জায়গা জুড়ে রয়েছেন ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন। এছাড়াও সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদক মুক্ত করার ব্রুত নিয়ে কাজ করছেন তিনি।গোয়ালন্দ থানার আইনশৃংখলা রক্ষায় মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন। তাঁর  নেতৃত্বে থানাটি ইতিমধ্যে একটি আদর্শ জনবান্ধব পুলিশিংয়ের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি অপরাধ দমনে শুধু কঠোর নন, একই সঙ্গে মানবিক পুলিশিংয়ের মাধ্যমেও জনগণের আস্থা অর্জনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। থানা কার্যক্রমে গতিশীলতা টহল জোরদার ও অপরাধ রোধে পরিকল্পিত পদক্ষেপ তাঁকে থানা বাসীর প্রিয় মুখে পরিণত করেছে।

গোয়ালন্দ থানার অধিনে কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজ, মাদক, ছিনতাই ও সন্ত্রাস প্রায় নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে। ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন  স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিয়েছেন অপরাধীদের ক্ষেত্রে কোন ছাড় নেই। তাঁর এই জিরো টলারেন্স নীতির ফলে গোয়ালন্দ থানা এলাকার রাস্তা ঘাটে রাতেও মানুষের চলাচল নিরাপদ হয়েছে। গোয়ালন্দ থানায় যোগদানের মাত্র দুই মাসের মধ্যেই তিনি সেবার মানে এনেছেন দৃশ্যমান পরিবর্তন। জনগণের অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ ও নির্ভরযোগ্য পুলিশিংয়ের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ জনগণের সেবক, এই বিশ্বাস থেকেই আমি কাজ করি। আমি চাই এমন কিছু করে যেতে, যাতে জনগণ আমাকে মনে রাখে। এই আন্তরিক মনোভাবই তাঁকে আলাদা করেছে অন্যদের থেকে। গোয়ালন্দ থানা এলাকায় এখন নিয়মিত টহল হেল্প ডেস্ক এবং অভিযোগ গ্রহণে প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। নাগরিক সেবাকে সহজতর করার লক্ষ্যে থানায় বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা চালু করা হয়েছে। একই সাথে মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যুদের আইনের আওতায় আনার দৃঢ় বার্তা দিয়েছেন। এক কথায় অপরাধ করলে কেউ রেহাই পাবে না। পরিশেষে সকল স্তরের মানুষের নিকট সহযোগিতা কামনা করেছেন।