
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল রিপোর্টে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রোগীরা জেলা সদরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নয়টি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে।
বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে সেবা প্রত্যাশীরা জেলা সদরকে আস্থার জায়গা মনে করে আর সেই সুযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের উলিতে গলিতে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। বেশিরভাগ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেই কোন সরকারি লাইসেন্স।চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ, মানহীন যন্ত্র ও প্রশিক্ষণহীন টেকনিশিয়ান দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা যার ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার চিকিৎসা সেবা প্রত্যাশীরা।
ভুল রিপোর্ট, ভুল চিকিৎসা রোগীদের জন্য মরন ফাঁদ। দুই মাস বয়সী মুগ্ধ নামের এক ছোট শিশুকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে থাইরয়েড টেস্ট করাতে বলায়, তার টেস্টে টি এস টি এর পরিমাণ আসে ৭.৪৭ যা দেখে চিকিৎসকের সন্দেহ হলে তিনি আবারও থাইরয়েড টেস্ট করাতে বলেন পরবর্তীতে টেস্ট করালে অন্য ক্লিনিকে টি এস টি এর পরিমান আসে ১.৫ যা স্বাভাবিক বলছেন চিকিৎসক। আরেক রোগী বলেন আমার ডান দিকে ব্যাথা হলে পেটে আমি একটি ডাইয়াগস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করি কিন্তু ওরা বলছে আমার বাম দিকে পাথর রয়েছে আমার সন্দেহ হলে আমি ঢাকায় আবারো চিকিৎসার জন্য যাই ঢাকায় গিয়ে আমার ডান দিকেই পাথর রয়েছে বলে পরীক্ষা করে পাই। এই হল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসা সেবা।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ নোমান মিয়া বলেন আমরা এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন আমি এই বিষয়ে অবগত হয়েছি আমি সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলে এইসব ডায়গনস্টিক সেন্টার এর বিষয়ে প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করে যাচাই-বাছাই করব।