
মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গলে মোহাজিরাবাদ জামিয়া মুহাম্মদিয়া উম্মাহাতুল মু’মীনিন মাদ্রাসার ছাত্র মো : আব্দুলা আল মোসাদ্দিক (৭) মাদ্রাসার শিক্ষক ডিস লাইনের ক্যাবল দিয়ে বেদড়ক পিঠিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্ব আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায় শ্রীমঙ্গল উপজেলধীন মোহাজিরাবাদ এলাকার মো: কামাল হোসেন’র ছেলে আব্দুলা আল মোসাদ্দিক, দীর্ঘ দিন সে মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকায় তাকে ডিস লাইনের ক্যাবল তাঁর দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে শিক্ষক আব্দুলা কে গুরুত্ব আহত করা হয়েছে।
ইউনুছ খাঁন হুজুর শিক্ষার্থীদের একটু বেশি শাসন করে বলে এলাকাবাসী জানায়।
এদিকে এই ঘটনায় শিশুটিকে পেঠানোর বিষয়ে এলাকাবাসী থেকে শুরু বিভিন্ন এলাকার লোকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ ও আলোচনা ঝড় বইছে । নেটিজনরা ঐ হুজুরে শাস্তি দাবী তুলেছেন সামাজিক যোগাযোগে।
গত ৭ ই সেপ্টেম্বর রাত ৮ টার দিকে মুহাম্মদিয়া উম্মাহাতুল মু’মীনিন(الجامعة محمدية أمهات المؤمنين مدرسة) মাদ্রাসার অনুপস্থিত থাকায় মো : আব্দুলা আল মোসাদ্দিক (৭) শিক্ষার্থীকে মাদ্রাসার শিক্ষক ডিস লাইনের ক্যাবল দিয়ে বেদড়ক পিটিয়ে গুরুত্ব আহত করে।
আব্দুলা মোসাদিক এর খালাতো ভাই মো: আরিফ হোসেন বলেন, একজন মাদ্রাসার শিক্ষক এভাবে আমার ভাইকে মারপিট করাটা কতটুকু যৌক্তিক, ওনার কাছে আরোও শিক্ষার্থীরা নিরাপদ না
। ইউনুছ হুজুরের পক্ষে কয়েকজন রিকোয়েস্ট করেছে আমরা যাহাতে আইনী কোন ব্যবস্থা না নিতে।
মাদ্রাসার শিক্ষক ইউনুছ খাঁন, বলেন, আব্দুলা দীর্ঘ দিন মাদ্রাসায় না আসায় এজন্য তাকে শাসন করেছি। তাকে এমন করা মারাটা আমার ঠিক হয়নি, মাদ্রাসার সুনামের দিক বিবেচনা করে যেনো আল্লাহর দিকে তাকিয়ে আমাকে মাফ করে দেন । তিনি আরোও বলেন, আমি রাত ১ টায় শিশুটির পরিবারে বাড়িতে আসছি ক্ষমা চাইতে।
এবিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আমিনুল ইসলাম বলেন, শিশুটিকে এমন আঘাত করা টা খুবই দু:খজনক। আব্দুলার পিতা মো: কালাম হোসেন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।