
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দেশী মদের দোকানে নিত্য পণ্যের মতো অবাধে বিক্রি হচ্ছে মদ। আর ওই মদের দোকানে ভোর থেকে মদ কিনতে লম্বা লাইন তৈরী হয় নিয়মিত। এই শিরোনাম একাধিক জাতীয় ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার ও প্রকাশিত হলেও,এখনও কোন ব্যবস্থা নেয় নি গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসন ও রাজবাড়ী জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। রাজবাড়ী জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, গোয়ালন্দ বাজারে অবস্থিত দেশী মদের দোকানে ৩০০ পারমিট বা অনুমোদনধরী ব্যক্তি আছে। জানা গেছে ৩০০ ব্যাক্তি, প্রতিটি ব্যক্তির কাছে প্রতি মাসে ৯ লিটার করে মোট ২৭০০ লিটার মদ বিক্রির অনুমোদন রয়েছে। অথচ কোন এক অভিযোগ জানা যায়, অসাধু উপায়ে এই দেশী মদের দোকানের মালিকেরা প্রতিনিদিই বিক্রি করছে প্রায় দেড়’শো থেকে ২’শো লিটার মদ। এছাড়াও মদের দাম প্রতি লিটারে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেশি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মদের দোকান মালিকের বিরুদ্ধে। যা সম্পূর্ণ আইন বিরোধী, নিষিদ্ধ ও অবৈধ।
স্থানীয়রা বলেন, খোলা বাজারে মদ বিক্রির মদ বা যোগসাজশ রয়েছে, স্থানীয় কতিপয় কয়েক সাংবাদিক ও অসাধু কিছু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুটি কয়েক সদস্য ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অসাধু কিছু ব্যক্তির। যার কারণে নিয়মিত জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করেও, কোন প্রতিকার মিলছে না।এ নিয়ে নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক সাংবাদিক বলেন, গোয়ালন্দে বিগত সময়ে যে সকল প্রশাসন এসেছেন,তারা কেউই খোলা বাজারে মদ বিক্রি বন্ধে মদ ব্যবসায়ী টিটু সরকারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় নি। সবাই সুবিধা নিয়ে গোজামিল দিয়ে কাজ করে চলে গিয়েছে। ফলে চলমান গোয়ালন্দে খোলা বাজারে মদ বিক্রির অবাদ কার্যক্রম ।সুশীল সমাজের ব্যক্তি গন বলছেন, গোয়ালন্দে খোলা বাজারে মদ বিক্রি ও এখান থেকে মদের দোকান অন্যথা সরিয়ে নিতে মানববন্ধন সহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। কিন্তু তারপরও সরানো হয়নি। প্রশাসন শুধু আশ্বাস দিয়েছে, তা কার্যকর করেনি।
তিনি আরও বলেন, এই দেশী মদের দোকানে অবাদে মদ বিক্রির কারণে গোয়ালন্দের যুব, ছাত্র সমাজ আজ ধ্বংসের পথে। এলাকায় প্রতিনিয়তই চুরি,ছিনতাই, রাহাজানি মাস্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বিষয়ে মদ অনিয়মের বরপুত্র টিটু সরকারের দেশী মদের দোকানের ম্যানেজার গোপালের সাথে মুঠোফোনে হলে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। পরে বলেন, আমরা পারমিট বা অনুমোদন ছাড়া কোন ব্যক্তির কাছে আমরা মদ বিক্রি করি না। প্রতিদিন দেড়’শো থেকে দুই’শো লিটার মদ বিক্রি করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে কৌশলে ফোনটি কেটে দেন। এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দেশী মদের দোকানের সমস্ত কার্যক্রম গোয়ালন্দ থানা পুলিশের নজরদারীতে রয়েছে। শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজবাড়ী জেলা মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু আবদুল্লাহ জাহিদ বলেন, দেশী মদের দোকানকে বিশেষ নজরদারীতে রাখা হয়েছে। অনিয়ম পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।তবে আশার কথা শুনিয়েছেন গোয়ালন্দ উপজেলার নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাথী দাস। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে গোয়ালন্দে দেশী মদের দোকানে ঘিরে নানা অনিয়মের তথ্য আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে পেয়েছি, সেই সুত্র মোতাবেক মদের দোকানকে ঘিরে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চলমান রয়েছে। অবৈধ ভাবে খোলা বাজারে মদ বিক্রির কোন সুযোগ গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসন কাউকে দিবে না বলে জানান।
শেখ আব্দুর রাজ্জাক, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধিঃ 


















