
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ১ ও ২ নং প্লাটফরমে সোমবার সকাল থেকে ট্রেন ঢুকতে পারছে না। কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, কিছু সময়ের ব্যবধানে দুইবার সিগন্যাল পোস্টের ক্যাবল চুরির ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিষ্টরা জানালেন, চলতি মাসে প্রতিদিনই ক্যাবল চুরি হচ্ছে। গত মাসে চুরি হয়েছে ট্রান্সফরমার। এতে ট্রেন পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটছে। চরম দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা।
ট্রেন পরিচালনায় সিগন্যাল অর্থাৎ সংকেত একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ট্রেন চলা ও থামার জন্য লাল, সবুজ, হলুদ সংকেত ব্যবহার হয়ে থাকে। এসব পরিচালনায় যে পোস্ট থাকে সেগুলোতে বিশেষ তারের ব্যবহার হয়। চোর আর দুর্বৃত্তদের দৃষ্টি এখন এসব তারে। ঢাকা-চট্টগ্রাম পথের আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া, আখাউড়া-সিলেট পথের হবিগঞ্জের নোয়াপাড়া পর্যন্ত নিয়মিত সিগন্যাল ক্যাবল চুরি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও এ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায়। তারা বলছেন, তার চুরিরোধ করতে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন। পাশাপাশি এলাকাবাসীকেও সচেতন হতে হবে।
ক্যাবল চুরির ঘটনায় ১ ও ২নং প্ল্যাটফরমের লাইন দিয়ে ট্রেন ঢুকতে পারছেন না বলে স্বীকার করেছেন আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন মাস্টার মোঃ নূর নবী। এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, “সকালে স্টেশনে এসে বিষয়টি জানতে পেরেছি। ৩ নং প্ল্যাটফরমে লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের উর্ধ্বতন উপ-সহকারি প্রকৌশলী (সংকেত) মোঃ জোবায়ের বলেন, “আখাউড়া দেবগ্রাম এলাকায় সিগন্যাল পোস্টের তার চুরি হয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ থানা পুলিশও নিরাপত্তা বাহিনীকে জানানো হয়েছে।
তিনি জানান, কি পরিমাণ তার চুরি হয়েছে সেটি দেখে বলতে হবে। নতুন করে তার লাগিয়ে ১ ও ২ নংপ্লাটফর্মে ট্রেন চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এতে কিছুটা সময় লাগবে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম শফিকুল ইসলাম বলেন, এর আগে চুরির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজকের (সোমবার) ঘটনারও খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মাহমুদুল হাসান, সহকারী বার্তা সম্পাদকঃ 
















