Dhaka 3:33 am, Tuesday, 8 July 2025

নড়াইলে শীত ও কুয়াশা কে উপেক্ষা করে চলছে কৃষকের ইরি-বোরো ধান রোপন।

নড়াইলে শীত ও কুয়াশা কে উপেক্ষা করে চলছে কৃষকের ইরি-বোরো ধান রোপন।

আব্দুল হামিদ শেখ, চিফ রিপোর্টার

তীব্র শীত কুয়াশা কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নড়াইলের কৃষকেরা পরম যত্নে জমিতে নানান জাতের ধানের চারা রোপন করছেন। কৃষকদের কাছে বছরের প্রথম আবাদ ইরি ও বোরো ধান। জেলার ৩টি উপজেলার সব মাঠের কমবেশি জমিতে ইরি ও বোরো ধানের আবাদ শুরু হয়ে এখন তা শেষ পর্যায়ে।

চলতি মৌসুমে জেলার ৩ উপজেলায় প্রায় ৫৩ হাজারের বেশি হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জেলায় গতবারের চেয়ে এবার প্রায় ৮১০ হেক্টর বেশি জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর ৩ উপজেলায় মোট ২ লাখ ৫০ হাজার ৮৩০ টন চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে ২২-২৩ বোরো মৌসুমে জেলার ৩ উপজেলায় মোট ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৩ হাজার ২৩০ হেক্টর, লোহাগড়া উপজেলায় ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর এবং কালিয়া উপজেলায় ১৬ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল যার তুলনায় এবার কিছুটা বেশি।

ফসলের মাঠগুলোতে এরই মধ্যে কৃষকেরা বোরো ধানের আবাদ শুরু করেছেন। ব্রি ৮৯, ব্রি ৯২, ব্রি ১০২, ব্রি ১০৫, ব্রি ১০৮ জাতের ধান সহ আরও কয়েক জাতের ধান আবাদ হচ্ছে বলে জানান এখানেও কৃষকরা।

তবে দিন দিন নড়াইলে কৃষি জমির পরিমাণ বাড়লেও কৃষকরা কিছুটা হতাশ কারণ ইরি-বোরো সেচ নির্ভর, তাই জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ায় এ ধান চাষে খরচ অনেক বেশি। কৃষকদের ধারণা সরকার কীটনাশক ও জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা কমালে পাশাপাশি বিদ্যুতের মাধ্যমে সকল মাঠে সেচ এর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে অনেকটাই লাভবান হবেন তারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ডিমলায় রাস্তার কাজ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

নড়াইলে শীত ও কুয়াশা কে উপেক্ষা করে চলছে কৃষকের ইরি-বোরো ধান রোপন।

Update Time : 11:24:39 am, Tuesday, 28 January 2025

নড়াইলে শীত ও কুয়াশা কে উপেক্ষা করে চলছে কৃষকের ইরি-বোরো ধান রোপন।

আব্দুল হামিদ শেখ, চিফ রিপোর্টার

তীব্র শীত কুয়াশা কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নড়াইলের কৃষকেরা পরম যত্নে জমিতে নানান জাতের ধানের চারা রোপন করছেন। কৃষকদের কাছে বছরের প্রথম আবাদ ইরি ও বোরো ধান। জেলার ৩টি উপজেলার সব মাঠের কমবেশি জমিতে ইরি ও বোরো ধানের আবাদ শুরু হয়ে এখন তা শেষ পর্যায়ে।

চলতি মৌসুমে জেলার ৩ উপজেলায় প্রায় ৫৩ হাজারের বেশি হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জেলায় গতবারের চেয়ে এবার প্রায় ৮১০ হেক্টর বেশি জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর ৩ উপজেলায় মোট ২ লাখ ৫০ হাজার ৮৩০ টন চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে ২২-২৩ বোরো মৌসুমে জেলার ৩ উপজেলায় মোট ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৩ হাজার ২৩০ হেক্টর, লোহাগড়া উপজেলায় ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর এবং কালিয়া উপজেলায় ১৬ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল যার তুলনায় এবার কিছুটা বেশি।

ফসলের মাঠগুলোতে এরই মধ্যে কৃষকেরা বোরো ধানের আবাদ শুরু করেছেন। ব্রি ৮৯, ব্রি ৯২, ব্রি ১০২, ব্রি ১০৫, ব্রি ১০৮ জাতের ধান সহ আরও কয়েক জাতের ধান আবাদ হচ্ছে বলে জানান এখানেও কৃষকরা।

তবে দিন দিন নড়াইলে কৃষি জমির পরিমাণ বাড়লেও কৃষকরা কিছুটা হতাশ কারণ ইরি-বোরো সেচ নির্ভর, তাই জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ায় এ ধান চাষে খরচ অনেক বেশি। কৃষকদের ধারণা সরকার কীটনাশক ও জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা কমালে পাশাপাশি বিদ্যুতের মাধ্যমে সকল মাঠে সেচ এর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে অনেকটাই লাভবান হবেন তারা।