Dhaka 7:15 am, Friday, 18 July 2025

ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় লিফলেট বিতরণ ও সচেতনতা ক্যাম্পেইন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের পক্ষ থেকে (বুধবার, ৭ মে)সকাল ১০টায়

আনন্দ বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন সম্বলিত লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।

কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন। উদ্বোধনকালে তিনি বলেন দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় শোল, গজার ও টাকি মাছের পোনা ক্রয়-বিক্রয় রোধে এবং নিষিদ্ধ পিরানহা, আফ্রিকান মাগুর, জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছ ক্রয়-বিক্রয় বন্ধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজকে আনন্দ বাজার থেকে প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে যা পর্যায়ক্রমে জেলার প্রতিটি উপজেলায় কার্যকর হবে। তিনি আরো বলেন চায়না দুয়ারি বা রিং জাল, কারেন্ট জাল, বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ নিধন বন্ধ করতে হবে।

আমরা মানুষজনের সাথে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনের ব্যাপারেও কথা বলছি। মানুষ সচেতন হলেই  এ কার্যক্রমের সফলতা আসবে।

বক্তব্য রাখেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ছায়েদুর রহমান, তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ, তরী’র সদস্য খালেদা মুন্নী, সোহেল রানা ভূঁইয়া, হৃদয় কামাল, রোটারিয়ান আশিকুর রহমান, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আরিফ নুরুল আমিন, বাজার কমিটির সভাপতি মো. খলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. মোত্তাকিন।

এসময় বক্তারা নদ-নদী, খাল-বিল, হাওড়-বাওড়, পুকুর-জলাশয় রক্ষায় গুরুত্বারোপ করেন।

উপস্থিত ছিলেন মো. আবদুল হেকিম, মাসুদ রানা, মেহেদী মৃধা, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের ক্ষেত্র সহকারী মো. হামিদুল হক, অফিস সহায়ক মো. হাকিম মিয়া প্রমুখ।

এ কাজে সহযোগিতায় ছিলো নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন ’তরী বাংলাদেশ’

তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ বলেন বর্ষার শুরুতেই সারাদেশে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করা উচিৎ এ সময়ে অসচেতনতার কারণে জেলেরা অবাধে শোল, গজার ও টাকি মাছের পোনা ধরছে এবং রাস্তার মোড়ে মোড়ে বেচা-কেনা হচ্ছে। আমরা মূলত জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছি। সকলে সোচ্চার ও সচেতন থাকলে নদীমাতৃক বাংলাদেশে দেশীয় মাছের অভাব থাকবে না। আমরা তরী বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে  দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষজনকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছি।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ছায়েদুর রহমান বলেন ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করছি যা আমাদের চলমান কাজের অংশ। দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় জনসচেতনতার বিকল্প নেই। আমরা আশা করছি এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলে আমাদের নদ-নদী, খাল-বিলে দেশীয় মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় আমাদের কার্যক্রম চলবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বরেন্দ্র সচেতন সমাজ’র উদ্যোগে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় লিফলেট বিতরণ ও সচেতনতা ক্যাম্পেইন

Update Time : 10:08:21 pm, Wednesday, 7 May 2025

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের পক্ষ থেকে (বুধবার, ৭ মে)সকাল ১০টায়

আনন্দ বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন সম্বলিত লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।

কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন। উদ্বোধনকালে তিনি বলেন দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় শোল, গজার ও টাকি মাছের পোনা ক্রয়-বিক্রয় রোধে এবং নিষিদ্ধ পিরানহা, আফ্রিকান মাগুর, জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছ ক্রয়-বিক্রয় বন্ধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজকে আনন্দ বাজার থেকে প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে যা পর্যায়ক্রমে জেলার প্রতিটি উপজেলায় কার্যকর হবে। তিনি আরো বলেন চায়না দুয়ারি বা রিং জাল, কারেন্ট জাল, বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ নিধন বন্ধ করতে হবে।

আমরা মানুষজনের সাথে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনের ব্যাপারেও কথা বলছি। মানুষ সচেতন হলেই  এ কার্যক্রমের সফলতা আসবে।

বক্তব্য রাখেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ছায়েদুর রহমান, তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ, তরী’র সদস্য খালেদা মুন্নী, সোহেল রানা ভূঁইয়া, হৃদয় কামাল, রোটারিয়ান আশিকুর রহমান, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আরিফ নুরুল আমিন, বাজার কমিটির সভাপতি মো. খলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. মোত্তাকিন।

এসময় বক্তারা নদ-নদী, খাল-বিল, হাওড়-বাওড়, পুকুর-জলাশয় রক্ষায় গুরুত্বারোপ করেন।

উপস্থিত ছিলেন মো. আবদুল হেকিম, মাসুদ রানা, মেহেদী মৃধা, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের ক্ষেত্র সহকারী মো. হামিদুল হক, অফিস সহায়ক মো. হাকিম মিয়া প্রমুখ।

এ কাজে সহযোগিতায় ছিলো নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন ’তরী বাংলাদেশ’

তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ বলেন বর্ষার শুরুতেই সারাদেশে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করা উচিৎ এ সময়ে অসচেতনতার কারণে জেলেরা অবাধে শোল, গজার ও টাকি মাছের পোনা ধরছে এবং রাস্তার মোড়ে মোড়ে বেচা-কেনা হচ্ছে। আমরা মূলত জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছি। সকলে সোচ্চার ও সচেতন থাকলে নদীমাতৃক বাংলাদেশে দেশীয় মাছের অভাব থাকবে না। আমরা তরী বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে  দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষজনকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছি।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ছায়েদুর রহমান বলেন ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করছি যা আমাদের চলমান কাজের অংশ। দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় জনসচেতনতার বিকল্প নেই। আমরা আশা করছি এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলে আমাদের নদ-নদী, খাল-বিলে দেশীয় মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় আমাদের কার্যক্রম চলবে।