
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) চিনিকল এলাকায় আরও চারটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। ককটেলগুলো এরই মধ্যে নিস্ক্রিয়ও করা হয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সেনাবাহিনীর একটি প্রশিক্ষিত দল ককটেলগুলো নিস্ক্রিয় করে। এ সময় বিকট শব্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সেনাবাহিনীর একটি প্রশিক্ষিত দল ককটেলগুলো নিস্ক্রিয় করে।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকল এলাকায় গত কয়েকদিনে পৃথক ৩টি স্থান থেকে মোট ৬টি শক্তিশালী ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একাধিক মামলা দায়ের হলেও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন।
এদিকে একের পর এক ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় চিনিকল এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেরু চিনিকল প্রশাসন সতর্কাবস্তায় রয়েছে। চিনিকল এলাকার প্রত্যেকটি প্রবেশপথে শক্তিশালী ফটক ও সিমানাপ্রচীর নির্মাণসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে কেরু চত্বরে লাল টেপে জড়ানো একটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। ককটেলটি ওইদিনই রাজশাহী র্যাব-৫-এর প্রশিক্ষিত দল নিস্ক্রিয় করে।
এরপর গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেরুজ ক্লাবের সামনের পানিশূন্য পুকুর থেকে কালো টেপে জড়ানো একটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। ওইদিন রাজশাহী র্যাব-৫ ওই দলই ক্লাব মাঠে ককটেলটি নিস্ত্রিয় করে।
পরপর দুটি শক্তিশালী ককটেল পাওয়ায় পর গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানার নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা গোয়েন্দা পুলিশ, দর্শনা থানা পুলিশ, চুয়াডাঙ্গা সেনাবাহিনী ও কেরুজ নিরাপত্তা কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল কেরুজের আবাসিক এলাকায় বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি শুরু করে।
তল্লাশি শুরুর দুই ঘণ্টা পর দুপুর দুটোর দিকে একটি পলিথিনে ৪টি শক্তিশালী ককটেল পায় তল্লাশি দল। তবে তারা ককটেলগুলো উদ্ধার করেনি। যশোর সেনাবাহিনীর একটি প্রশিক্ষিত দল সোমবার বিকালে ককটেলগুলো উদ্ধার করে এবং কেরুজ ক্লাবের সামনের পানিশূন্য পরিত্যক্ত একটি পুকুরে সেগুলো নিস্ত্রিয় করে।