Dhaka 4:27 am, Monday, 8 December 2025

টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফলে সংবাদ সম্মেলন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌনে ১২ লাখ শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুদেরকে সুরক্ষিত রাখতে সরকারের ইপিআই কর্মসূচীর আওতায় আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে দেশব্যাপী

টিকাদান ক্যাম্পেইন। এই কর্মসূচীর আওতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নোমান মিয়ার সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাস, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক ডাঃ মাহমুদুল হাসান ও ডাঃ সুবল চন্দ্র সাহা।
সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি খ.আ.ম. রশিদুল ইসলাম, আল-আমিন শাহিন, শেখ শহিদুল ইসলাম, নিয়াজ মোঃ খান বিটু, মফিজুর রহমান লিমন, শিহাব উদ্দিন বিপু, মোঃ নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, তফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া জানান, দেশে প্রথমবারের মতো ৯ থেকে ১৫ বছর বয়সী সকল শিশু এবং প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেনী/ সমমান পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে টাইফয়েডের টিকা দেয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫৭ জন শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় ৭ লাখ ৩৭ হাজার ৫২৭ জনের রেজিষ্ট্রেশন হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন শুরু হয় ১ আগস্ট থেকে। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে টিকা দেয়া শুরু হবে। ওইদিন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। মোট ১৮ দিন চলবে টিকা কার্যক্রম। প্রথম ১০ দিন বিদ্যালয়ে ও পরের ৮ দিন স্থানীয় পর্যায়ে টিকা দেয়া হবে।
তিনি বলেন, রেজিষ্ট্রেশন করতে সচেতনতা বাড়াতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে। আলেম-ওলামাদের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে। তিনি টিকাদান কার্যক্রম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, জেলার ৯ টি উপজেলা ও ১ টি পৌরসভায় মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ( স্কুল ও মাদরাসা) ৫৩৭৬ টি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৩৩ জন এবং কমিউনিটিতে শিশুর সংখ্যা ৪ লাখ ১২ হাজার ৫২৪ জন। স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা ১১ টি, অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা ২৩৭৬ টি, টিকাদানকারীর সংখ্যা ৬৪০ জন, সে¦চ্ছাসেবকের সংখ্যা ২৩৭৬ জন এবং প্রথম শ্রেনীর সুপারভাইজারের সংখ্যা ২৯৭ জন। তিনি বলেন, আমরা টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চাই।

সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া আরো বলেন, টাইফয়েড জ্বর হলো প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগ। টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে এ টিকা দেয়া জরুরি। প্রতিবছর বিশ্বে ৯০ লাখ মানুষ টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয় ও এক লাখ ১০ হাজার মানুষ মারা যান। মৃত্যুবরণকারিদের বেশিরভাগই দক্ষিণ এশিয়ার এবং সাব-সাহারান আফ্রিকায় বসবাসকারি মানুষ।

তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকরা দায়িত্বের প্রতি অনেক আন্তরিক। দেশের অন্যান্য জেলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকরা ব্যতিক্রম। আপনারা টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইন বিষয়টি সবার মাঝে প্রচার করবেন, যাতে প্রতিটি বাচ্চা টাইফয়েড টিকা গ্রহণ করে ও সুস্থ থাকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক সড়কের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফলে সংবাদ সম্মেলন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌনে ১২ লাখ শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

Update Time : 08:55:05 pm, Thursday, 9 October 2025

টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুদেরকে সুরক্ষিত রাখতে সরকারের ইপিআই কর্মসূচীর আওতায় আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে দেশব্যাপী

টিকাদান ক্যাম্পেইন। এই কর্মসূচীর আওতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নোমান মিয়ার সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাস, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক ডাঃ মাহমুদুল হাসান ও ডাঃ সুবল চন্দ্র সাহা।
সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি খ.আ.ম. রশিদুল ইসলাম, আল-আমিন শাহিন, শেখ শহিদুল ইসলাম, নিয়াজ মোঃ খান বিটু, মফিজুর রহমান লিমন, শিহাব উদ্দিন বিপু, মোঃ নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, তফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া জানান, দেশে প্রথমবারের মতো ৯ থেকে ১৫ বছর বয়সী সকল শিশু এবং প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেনী/ সমমান পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে টাইফয়েডের টিকা দেয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫৭ জন শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় ৭ লাখ ৩৭ হাজার ৫২৭ জনের রেজিষ্ট্রেশন হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন শুরু হয় ১ আগস্ট থেকে। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে টিকা দেয়া শুরু হবে। ওইদিন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। মোট ১৮ দিন চলবে টিকা কার্যক্রম। প্রথম ১০ দিন বিদ্যালয়ে ও পরের ৮ দিন স্থানীয় পর্যায়ে টিকা দেয়া হবে।
তিনি বলেন, রেজিষ্ট্রেশন করতে সচেতনতা বাড়াতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে। আলেম-ওলামাদের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে। তিনি টিকাদান কার্যক্রম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, জেলার ৯ টি উপজেলা ও ১ টি পৌরসভায় মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ( স্কুল ও মাদরাসা) ৫৩৭৬ টি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৩৩ জন এবং কমিউনিটিতে শিশুর সংখ্যা ৪ লাখ ১২ হাজার ৫২৪ জন। স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা ১১ টি, অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা ২৩৭৬ টি, টিকাদানকারীর সংখ্যা ৬৪০ জন, সে¦চ্ছাসেবকের সংখ্যা ২৩৭৬ জন এবং প্রথম শ্রেনীর সুপারভাইজারের সংখ্যা ২৯৭ জন। তিনি বলেন, আমরা টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চাই।

সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া আরো বলেন, টাইফয়েড জ্বর হলো প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগ। টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে এ টিকা দেয়া জরুরি। প্রতিবছর বিশ্বে ৯০ লাখ মানুষ টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয় ও এক লাখ ১০ হাজার মানুষ মারা যান। মৃত্যুবরণকারিদের বেশিরভাগই দক্ষিণ এশিয়ার এবং সাব-সাহারান আফ্রিকায় বসবাসকারি মানুষ।

তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকরা দায়িত্বের প্রতি অনেক আন্তরিক। দেশের অন্যান্য জেলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকরা ব্যতিক্রম। আপনারা টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইন বিষয়টি সবার মাঝে প্রচার করবেন, যাতে প্রতিটি বাচ্চা টাইফয়েড টিকা গ্রহণ করে ও সুস্থ থাকে।