
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপসচিব মোঃ শাহাদাত হোসেন কবিরের সঙ্গে অসদাচরণ এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে কর্মরত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশলয় সাহা এবং তার স্ত্রী হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অদিতি রায়কে বদলি করার খবর পাওয়া গিয়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এ বি এম আবু হানিফ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই দম্পতিকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়।
ডা. কিশলয় সাহাকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক হিসেবে,
এবং ডা. অদিতি রায়কে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার টিয়ারখালী ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. নোমান মিয়া এবং হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. রত্নদ্বীপ বিশ্বাস এই বদলির তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে উপসচিব মো. শাহাদত হোসেন কবির ডা. অদিতি রায়কে ফোনে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় বহির্বিভাগ সেবা কার্যক্রমে প্রশাসনিক অনুমোদনের বিষয়ে আলোচনা করতে চান। তবে তিনি ফোনটি রিসিভ না করায় উপসচিব নিজের পরিচয় দিয়ে একটি এসএমএস পাঠিয়ে কলব্যাকের অনুরোধ জানান।
কিন্তু ডা. অদিতি রায় এসএমএসটি দেখার পরও উপসচিবকে ফোনে ফেরত যোগাযোগ করেননি। পরবর্তীতে তার স্বামী ডা. কিশলয় সাহা ওই উপসচিবের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং অভিযোগ অনুযায়ী, তাদের মধ্যে ‘অশোভন ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ ভাষায় কথোপকথন হয়। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ২ সেপ্টেম্বর ওই চিকিৎসক দম্পতির বিরুদ্ধে কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করে।
এরই প্রেক্ষিতে তাদের পরিবর্তিত কর্মস্থলে বদলি করা হয়।
ঘটনাটি স্বাস্থ্য প্রশাসনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের মতে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে পারস্পরিক শিষ্টাচার বজায় রাখা অপরিহার্য। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে বা ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করলে তার শাস্তি অবধারিত।
মোঃ হুমায়ুন কবীর, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ 
















