
গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে বাল্কহেডে চাঁদাবাজবাজী কালে ৬ চাঁদাবাজী কে আটক করেছে দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ। চাঁদাবাজী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে দুটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারসহ তাদের কে আটক করে। জানা গেছে দীর্ঘদিন ধরে ঐ চাঁদাবাজ চক্রটি বালুবাহী বাল্কহেড থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছিল। দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. এনামুল হকের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
আটককৃতরা হচ্ছে সিরাজগঞ্জের চৌহালী থানার ওমরাপুর ও আটিয়া সলংগী এলাকার বাসিন্দা মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ মোকছেদ আলী, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ জামরুল ইসলাম, আব্দুল কাদের ও আব্দুর রহমান। এরা দীর্ঘদিন ধরে নদীতে চলাচলকারী বাল্কহেড থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করে আসছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, চাঁদাবাজরা আলোকদিয়ার চরে অবস্থান নিয়ে বাল্কহেড থেকে টাকা তুলছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল তাৎক্ষণিক অভিযান চালায়। পুলিশ দেখে চাঁদাবাজরা পালানোর চেষ্টা করে, তবে ধাওয়া দিয়ে দুটি ট্রলারসহ ৬ জনকে আটক করা হয়।
পুলিশ আরো জানায়, আটককৃতদের বিরুদ্ধে শিবালয় থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নদীপথে চাঁদাবাজি বন্ধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে নৌ পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি নদীতে অবৈধভাবে চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছিল। বাল্কহেড মালিক ও চালকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করত এবং তারা নদীপথে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। এর আগেও নৌ পুলিশের অভিযানে পদ্মা ও যমুনা নদীতে কয়েকজন চাঁদাবাজ আটক হয়েছিল। তবে নতুন করে আবারও এমন চাঁদাবাজ চক্র সক্রিয় হওয়ায় বাল্কহেড মালিক ও শ্রমিকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। পুলিশের দ্রুত অভিযানে চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা আটক হওয়ায় স্হানীয়রা অনেক খুশি হয়েছে বলে তারা জানান।
শেখ আব্দুর রাজ্জাক, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধিঃ 













