
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার হরিণছড়া চা বাগানে সেপটিক ট্যাংকে বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে চার যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। একটি মোবাইল ফোন তুলতে গিয়ে শুরু হয় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বুধবার (৮ জুলাই) রাতে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অজয় ভৌমিক জানান, প্রথমে এক যুবক টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যাওয়া মোবাইল ফোন তুলতে নিচে নামেন। নামার পরপরই বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে উদ্ধারের জন্য তার বড় ভাইও সেপটিক ট্যাংকে নামেন, কিন্তু তিনিও বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে যান।
এরপর একে একে আরও দুইজন নিচে নামলে তারাও একইভাবে অচেতন হয়ে পড়েন। বিষাক্ত গ্যাসের তীব্রতায় চারজনই ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান।
নিহতরা হলেন:
রানা নায়েক (১৭), স্বপণ নায়েক (১৯),দুই ভাই
,কৃষ্ণ রবিদাস (২০),নিপেন ফুলমালি (২৭) তাঁরা সবাই হরিণছড়া চা বাগানের বাসিন্দা এবং চা-শ্রমিক পরিবারের সন্তান।
এ ঘটনায় রবি বুনার্জী (২০) নামের অপর একজন গুরুতর আহত হন। তাকে শ্রীমঙ্গল থেকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল হয়ে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সব্যসাচী পাল তমাল জানান রাতে চারজনকে হাসপাতালে আনা হলে দেখা যায় তারা সবাই মৃত। একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সিলেট পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্দিষ্ট করে বলা যাবে।”
এ মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো হরিণছড়া চা বাগান এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়দের মতে, অজ্ঞান হওয়ার পরপরই দ্রুত উদ্ধার না করায় প্রাণহানি আরও ভয়াবহ রূপ নেয়।
শেখ শুক্কুর,মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ 
















