
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা সংক্ষিপ্ত সফর করেছেন। এসময় কেন্দ্রীয় নেতাদের বরণ করতে আগে থেকেই তৃনমুলের নেতারা এনসিপির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে যাচ্ছিলেন।
জুলাই পদযাত্রার ৬ষ্ঠ দিনে চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী যাওয়ার পথে গোদাগাড়ী ডাইংপাড়া মোড়ে স্থানীয় জনতা তাদের অভিবাদন জানান।এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টি’র মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম মাইক্রোফন তুলে নিয়ে নাহিদ ইসলামকে বক্তব্য দেওয়ার আহবান জানান। এতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসপি)’র পক্ষ থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি’র আহ্বায়ক, জনাব নাহিদ ইসলাম সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন এবং গোদাগাড়ীর মানুষের প্রতিরোধের সংগ্রামকে স্মরণ করেন।
বক্তব্য শেষে দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক, জনাব হাসনাত আব্দুল্লাহ স্থানীয় জনগণের দাবির পরিপেক্ষিতে তাঁদের স্লোগানে স্লোগানে মূখরিত করেন।
৬ জুলাই (রবিবার) বিকেল ৪ টায় এই সংক্ষিপ্ত সফর করেন তারা।এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আকতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক ( দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ এনসিপির রাজশাহী জেলা কমিটির সদস্য সচিব রহমাতুল্লাহসহ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আপনাদের সাথে দেখা করতে নেমেছি।আপনাদের যে ভালবাসা আমাদেরকে দেখিয়েছেন তার প্রতি সম্মান রেখে জুলাই গণঅভ্যূত্থানের এই পদযাত্রায় আমরা আপনাদের দেখতে নেমেছি। আপনারা অসিম সাহসের সাথে আন্দোলন করেছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৩৩ জনের বেশি।আপনাদের এই লড়ায়ের কারণে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, মুক্ত হয়েছে। গোদাগাড়ী বাসীর এই সাহসী ভূমিকা বাংলাদেশকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমরাও অনুপ্রাণিত হয়েছি। গোদাগাড়ীর মত একটা উপজেলাতেও সাহসের সাথে লড়াই করেছেন আপনারা। বন্ধুগণ, আমরা জুলাই পদযাত্রা শুরু করেছি।জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে সাহস নিয়ে রাজ পথে নেমেছিলাম, এখন জনগণকে বার্তা দিতে হবে আমরা এখনো মাঠে আছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আছি। জুলাই ঘোষণা পত্র, জুলাই সনদ এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের এই যাত্রা। আমরা ৬৪ জেলায় যাচ্ছি। আমাদের মানুষের কাছে যেতে হচ্ছে।