
আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার নবীনগর উপজেলা প্রতিনিধি, নবীনগর নিউ মডেল প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহআলম খন্দকারকে শীর্ষ সন্ত্রাসী টাইগার বাবুলের পাইপ দিয়ে আঘাতের ফলে শাহা আলম খুনের অভিযোগ উঠেছে।
শাহ আলম নবীনগর উপজেলার কাইতলা দক্ষিন ইউনিয়নের কাইতলা খন্দকার বাড়ীর আহম্মদ আলী খন্দকারের ছেলে।। শাহ আলমের চারজন সন্তান রয়েছে।বড় মেয়ে খাদিজা ১৪,ছেলে আবু সুফিয়ান ১২,হাফিজা ১০,জামিলা ৮। তার স্ত্রী ফরিদা আক্তার সৌদি আরবে জীবিকার তাগিদে থাকেন।
শীর্ষ সন্ত্রাসী টাইগার সামাদের সহযোগী ছিল টাইগার বাবুল।টাইগার সামাদের মৃত্যুর পর এলাকার আতংক হয়ে উঠেন টাইগার বাবুল। বাবুল টাইগার( ৪২) কাইতলার মৃত দুঃখ মিয়ার ছেলে ।সন্ত্রাসী,চুরি,ডাকাতি সহ একাধিক মামলার আসামী বাবুলের অপকর্ম নিয়ে সাংবাদিক শাহআলমের প্রতিবাদী লিখার কারনে বাবুলের টার্গেট হন সাংবাদিক শাহ আলম।
শাহ আলমকে আজ দূপুর ১২ টায় টাইগার বাবুল পাইপ দিয়ে আঘাত করলে মারাত্নকভাবে আঘাত প্রাপ্ত হন শাহআলম,গুরুতর আহত শাহআলমকে কাইতলা সৈয়দ ফার্মেসীতে নিয়ে গেলে পল্লী চিকিৎসক তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মূলত পনেরদিন আগে সিদ্ধান্ত করে বাবুলকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়।এ মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন বশির আহমেদ সরদার, বিএনপি নেতা,জাকির হোসেন ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি, তাজুল ইসলাম, জামাল সরদার। মিটিং এর সভাপতি জামাল সরদার বলেন বাবুল খারাপ লোক হওয়ায় আমরা সমাজে রেজুলেশন করে বাবুলকে সমাজ থেকে বিতাড়িত করি পনের দিন আগে,সে জেলহাজত থেকে বের হয়ে এসে আজ শাহ আলমের আত্নীয় স্বজন রাস্তা দিয়ে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে পথ রোধ করে ব্যাগ কেড়ে নেয়। শাহআলম ব্যাগ উদ্ধার করতে গেলে সন্ত্রাসী বাবু তার উপরে আক্রমণ করে সাথে সাথে শাহআলম জ্ঞান হারায়।তার মৃত্যুতে এলাকায় ও সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
নিউ মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদক খলিল ও হুমায়ূন বলেন আমরা আমাদের নবীনগরের প্রতিটি ক্লাবের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেছি আমরা সকলের সমন্বয়ে এই হত্যাকান্ডের বিচার প্রার্থনা করছি।