Dhaka 9:24 pm, Sunday, 7 December 2025

চার বছরের শিশুকে হত্যা, সৎমাসহ আটক ৩

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় নিখোঁজের ছয় দিন পর রদিয়া আক্তার রুহি (৪) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শিশুর সৎমা, চাচা ও নানাকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে আজ শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের হিমাইল গ্রামে বাড়ির টয়লেট থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশু ওই এলাকার আব্দুর রহমানের মেয়ে।

আটককৃতরা হলেন- নিহত শিশুর চাচা জেলার মাত্রাই ইউনিয়নের হিমাইল গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে রনি, শিশুর সৎমা সোনিয়া এবং সোনিয়ার বাবা জিয়া কসাই।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, রুহি কালাই উপজেলার হিমাইল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমানের প্রথম পক্ষের মেয়ে। তার প্রথম স্ত্রী পাশেই বাবার বাড়ি থাকে। মেয়ে রুহি তার মায়ের সঙ্গে থাকলেও প্রায় প্রতিদিন দাদির সঙ্গে দেখা করতে বাবার বাড়িতে যেত। গত ২৪ মে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রুহি দাদির সঙ্গে দেখা করতে বাবার বাড়িতে গিয়ে আর মায়ের কাছে ফেরেনি। রুহির কথা জানতে চাইলে রুহির চাচা ও সৎমা জানায় তার দাদি বাড়িতে না থাকায় তাকে মায়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন রুহির মা।

ওসি আরও জানান, পরদিন (২৫ মে) কালাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজন হিসেবে রুহির বাবার দ্বিতীয় পক্ষের শ্বশুর জিয়া কসাইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে জিয়া কসাই স্বীকার করেন, তার মেয়ে সোনিয়া আক্তার (রুহির সৎমা), রুহির চাচা রনি এবং তিনি মিলে শিশুটিকে হত্যা করে মরদেহ বাড়ির টয়লেটের ভেতরে ফেলে দিয়েছেন।

জিয়া কসাইয়ের এমন স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিহত শিশুর চাচা রনি ও সৎমা সোনিয়াকে আটক করা হয় এবং তাদের দেখানো ওই ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ রুহির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আজ শনিবার সকালে শিশুটির মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক সড়কের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

চার বছরের শিশুকে হত্যা, সৎমাসহ আটক ৩

Update Time : 08:08:51 pm, Saturday, 31 May 2025

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় নিখোঁজের ছয় দিন পর রদিয়া আক্তার রুহি (৪) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শিশুর সৎমা, চাচা ও নানাকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে আজ শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের হিমাইল গ্রামে বাড়ির টয়লেট থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশু ওই এলাকার আব্দুর রহমানের মেয়ে।

আটককৃতরা হলেন- নিহত শিশুর চাচা জেলার মাত্রাই ইউনিয়নের হিমাইল গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে রনি, শিশুর সৎমা সোনিয়া এবং সোনিয়ার বাবা জিয়া কসাই।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, রুহি কালাই উপজেলার হিমাইল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমানের প্রথম পক্ষের মেয়ে। তার প্রথম স্ত্রী পাশেই বাবার বাড়ি থাকে। মেয়ে রুহি তার মায়ের সঙ্গে থাকলেও প্রায় প্রতিদিন দাদির সঙ্গে দেখা করতে বাবার বাড়িতে যেত। গত ২৪ মে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রুহি দাদির সঙ্গে দেখা করতে বাবার বাড়িতে গিয়ে আর মায়ের কাছে ফেরেনি। রুহির কথা জানতে চাইলে রুহির চাচা ও সৎমা জানায় তার দাদি বাড়িতে না থাকায় তাকে মায়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন রুহির মা।

ওসি আরও জানান, পরদিন (২৫ মে) কালাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজন হিসেবে রুহির বাবার দ্বিতীয় পক্ষের শ্বশুর জিয়া কসাইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে জিয়া কসাই স্বীকার করেন, তার মেয়ে সোনিয়া আক্তার (রুহির সৎমা), রুহির চাচা রনি এবং তিনি মিলে শিশুটিকে হত্যা করে মরদেহ বাড়ির টয়লেটের ভেতরে ফেলে দিয়েছেন।

জিয়া কসাইয়ের এমন স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিহত শিশুর চাচা রনি ও সৎমা সোনিয়াকে আটক করা হয় এবং তাদের দেখানো ওই ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ রুহির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আজ শনিবার সকালে শিশুটির মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।