
বগুড়ার সোনাতলায় বালুয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি খোরশেদ আলমের (৩৮) উপর সন্ত্রাসী হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হয়ে সোনাতলা উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত সুত্রে জানাগেছে, গত ২৪ মে শনিবার বগুড়ায় তারুণ্যের ভাবনা শীর্ষক সেমিনার রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় যৌথ কমিটির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সমাবেশে বগুড়া জেলার সকল উপজেলার ছাত্রদল, যুবদল ও সেচ্ছাসেবক দল কর্মীরা নানা যানবাহন যোগে গিয়ে অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে সোনাতলা উপজেলার বালুয়া ইউনিয়ন সেচ্ছা সেবকদলের নেতাকর্মীরাও একটি বাস যোগে উক্ত সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশের কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করার পর যে যার অবস্থানে ফিরে যায়।
তারই ন্যায় বালুয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সেচ্ছসেবক দলের সভাপতি খোরশেদ আলম বাসযোগে বালুয়া হাট স্ট্যান্ডে এসে নামেন। সেখানে কোন যানবাহন না পাওয়ায় পায়ে হেটে ধর্মকুল গ্রামে নিজ বাড়িতে যাবার সময় পুগলিয়া ধর্মকুলের মাঝামাঝি একটা কালভার্ট এর নিকট পৌছা মাত্র একদল আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে তার উপর হামলা চালায়। এসময় আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে হকিস্টিক ও লাঠিসোটা দিয়ে বেধরক মারধর করতে থাকে ও হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দারা সেচ্ছা সেবকদল নেতা খোরশেদ আলমের মাথায় স্বজরে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পরেন। তিনি জীবন বাচানোর তাগিদে চিৎকার চেচামেচি করলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে দেয়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এবিষয়ে আহত খোরশেদ আলম আরো জানান হামলা কারীদের মুল হিসেবে ছিলো কোয়ালীপাড়া এলাকার সরবেশ আলী প্রামানিকের ছেলে হারুন অর রশিদ, ধর্মকুল এলাকার সৈয়দ আলি মন্ডলের ছেলে আখের মন্ডল ও মুলবাড়ি এলাকার সিরাজুল ইসলাম। তবে এদের সাথে আরো প্রায় ১০ জন নামধারী আওয়ামী নেতাকর্মী ও তাদের সহযোগি আরো প্রায় ৮/১০ জন অজ্ঞাত আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী ছিলো বলেও জানিয়েছেন আহত খোরশেদ আলম। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এবিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিলাদুন নবী’র সাথে কথা বললে তিনি বলেন এঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মো: হৃদয় হোসেন, সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ 
















