
আজ ২২ মে ২০২৫ বরগুনার সাবেক ৫ বারের সংসদ সদস্যকে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারগার থেকে দুপুর ১২ টার দিকে বরগুনা কারাগারে আনা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক খাদ্য উপমন্ত্রী আ্যডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে বরগুনার অতিরিক্ত মুখ্য হাকিম মোঃ মনিরুজ্জামানের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত শুনানি শেষে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর জামিন না মঞ্জুর কারাগারে প্রেরণ করে।
বরগুনা সদর থানায় করা
বিশেষ আইন, স্যাবোটাজ আইন ও বিস্ফোরক মামলার আসামী। শম্ভুকে
আদালতে তোলার সময় বিএনপি পন্হী আইনজীবীরা ও ছাত্রদল ও বিএনপি অংগ সংগঠনের সদস্যরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এসময় ডিম নিক্ষেপ করে তিরস্কার করা হয়।
উল্লেখ যে,
গত ৫ আগস্ট ২০২৪ শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দীর্ঘ দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর ঢাকা
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম
২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে নিউমার্কেট থানার আন্দোলন চলাকালে নিহত ব্যবসায়ী ওয়াদুদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এছাড়াও আশুলিয়া থানার অপর একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত ৩০ এপ্রিল বরগুনায় ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাংচুর, সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এবং হাতবোমা ফাটিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করায় বরগুনা সদর থানায় মামলা দায়ের হয় আঃলীগ নেতা কর্মী সহ ১৫৮ জনের বিরুদ্ধে। বরগুনা জেলা বিএনপির প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলামের ছেলে এস এম নইমুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে।
মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে তৎকালীন বরগুনা -১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র শ্রমিক জনতা আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় দুটি হত্যা মামলায় ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে তিনি বন্দিরত অবস্থায় ছিল। আজ তাকে এই মামলার দৃশ্যত গ্রেপ্তার দেখিয়ে অতিরিক্ত মুখ্য হাকিমের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে তার জামিন না মঞ্জুর হলে তাকে কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়।
আদালতে হাজির করার সময় মূল ফটক বন্ধ করে রাখা হয়। কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শম্ভুকে আদালত চলাকালে প্রহরায় রাখা হয়।জামিন নাম মঞ্জুর করা হলে পুনরায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।