Dhaka 10:31 am, Friday, 18 July 2025

ফরিদপুরে স্কুলছাত্রী ইতি আক্তারের আত্মহত্যা

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সিংহপ্রতাপ গ্রামে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ইতি আক্তারের (১৩) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৭ মে) সকাল ১০টার দিকে নিজ ঘরের আড়ায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পায় পরিবার। পরে সালথা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

ইতি আক্তার স্থানীয় সাড়ুকদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং গট্টি ইউনিয়নের দিনমজুর মো. সিদ্দিক বিশ্বাসের একমাত্র মেয়ে। তার মা বিদেশে থাকেন, আর বাবা ও ভাই দেশের বিভিন্ন জায়গায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন।

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইতির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের সোহেল রানার (২২) সঙ্গে। ১৪ মার্চ, বাড়িতে একা থাকার সুযোগে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সোহেল তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ইতির বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সালথা থানায় মামলা করেন।

র‌্যাবের সহযোগিতায় ২০ এপ্রিল রাতে পটুয়াখালী থেকে সোহেল রানা গ্রেপ্তার হয় এবং বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

 

ইতির পরিবারের সদস্যরা জানান, সোহেল গ্রেপ্তারের পর উভয় পরিবার বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলেও, সোহেলের পরিবার বিয়েতে রাজি হয়নি। এই প্রত্যাখ্যান এবং সামাজিক চাপের কারণে ইতি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। একপর্যায়ে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বলে পরিবার ধারণা করছে।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, “ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী ইতির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিয়ের প্রস্তাবে সোহেলের পরিবারের অস্বীকৃতি এবং মানসিক চাপ থেকেই মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বরেন্দ্র সচেতন সমাজ’র উদ্যোগে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

ফরিদপুরে স্কুলছাত্রী ইতি আক্তারের আত্মহত্যা

Update Time : 05:30:18 pm, Wednesday, 7 May 2025

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সিংহপ্রতাপ গ্রামে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ইতি আক্তারের (১৩) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৭ মে) সকাল ১০টার দিকে নিজ ঘরের আড়ায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পায় পরিবার। পরে সালথা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

ইতি আক্তার স্থানীয় সাড়ুকদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং গট্টি ইউনিয়নের দিনমজুর মো. সিদ্দিক বিশ্বাসের একমাত্র মেয়ে। তার মা বিদেশে থাকেন, আর বাবা ও ভাই দেশের বিভিন্ন জায়গায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন।

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইতির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের সোহেল রানার (২২) সঙ্গে। ১৪ মার্চ, বাড়িতে একা থাকার সুযোগে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সোহেল তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ইতির বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সালথা থানায় মামলা করেন।

র‌্যাবের সহযোগিতায় ২০ এপ্রিল রাতে পটুয়াখালী থেকে সোহেল রানা গ্রেপ্তার হয় এবং বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

 

ইতির পরিবারের সদস্যরা জানান, সোহেল গ্রেপ্তারের পর উভয় পরিবার বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলেও, সোহেলের পরিবার বিয়েতে রাজি হয়নি। এই প্রত্যাখ্যান এবং সামাজিক চাপের কারণে ইতি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। একপর্যায়ে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বলে পরিবার ধারণা করছে।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, “ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী ইতির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিয়ের প্রস্তাবে সোহেলের পরিবারের অস্বীকৃতি এবং মানসিক চাপ থেকেই মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।”