
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের সরদার ডাঙ্গী গ্রামে পারিবারিক ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শিশু হত্যাচেষ্টা ও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক শিশুসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গুরুতর আহতদের মধ্যে একজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী বর্ণা আক্তার জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী খায়রুজ্জামান শেখ শহিদ, তার স্ত্রী বিউটি বেগম, ও সহযোগী বিল্লালসহ কয়েকজনের সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। গত ১ মে দুপুর ২টার দিকে বিবাদীরা তাদের বাড়ির পাশের পুকুরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কাটছিল। এসময় তার ৪ বছর বয়সী ছেলে বায়জিদ পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে ছিল। অভিযোগ রয়েছে, খায়রুজ্জামানের নির্দেশে বিল্লাল শিশুটিকে পরিকল্পিতভাবে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়।
শিশুটিকে আহত অবস্থায় তার বাবা শেখ সাত্তার উদ্ধার করেন। এরপর ঘটনার কারণ জানতে গেলে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে বিবাদীরা লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। হামলায় বর্ণার ভাগিনা রিয়াজুল খান গুরুতরভাবে মাথায় আঘাত পান এবং তার স্বামী শেখ সাত্তারের পা ভেঙে যায়। শাশুড়ি আয়শা বেগম ও জা রিনা বেগমকেও মারধর করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, হামলার সময় রিনা বেগমের গলায় থাকা ১২ আনার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় বিউটি বেগম।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় শেখ সাত্তারকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে আহতরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা তাদের হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে, ফলে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বিষয়টি নিয়ে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত খাইরুজ্জামানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: নাজমুল হাসান জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে ।