
২৫/০৪/২০২৫ রোজ শুক্রবার নবীনগর উপজেলার পৌর সদরের ৫নং ওয়ার্ড এর শেষ সীমান্ত আলিয়াবাদ পশ্চিম পাড়ায় প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা গেছে একদল কিশোরগ্যাংকে।
সরজমিনে গিয়ে তথ্য নিয়ে জানা যায় আলিয়াবাদ পশ্চিম পাড়ার প্রবাসী মোশাররফ হোসাইন এর মেয়েকে ইভটিজিং করে পাশ্ববর্তী শ্রীরামপুর ইউনিয়নের আউয়াল মিয়াী ছেলে শেখ ফরিদ, সামসু মিয়ার ছেলে মোকাররম, আবু সাইদ মিয়ার ছেলে অপু, নজরুল ইসলামের ছেলে শাকিল, শরীফুল এর ছেলে জাবেদ,মনির মিয়ার ছেলে রুবেল,আকবর আলীর ছেলে রিয়াদ গংরা
প্রবাসী মোশাররফ হোসাইন এর ছেলে ইভটিজার দেরকে অনুরোধ করেন আমার বোনকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে তোমরা ডিস্টার্ব করবেনা।
এই অনুরোধ রাখারপর ইভটিজাররা শুক্রবার বিকেল চারটায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মোশাররফ হোসাইন এর ছেলে আলিফ(১৪) কে বাড়ীতে মারতে আসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে। আলিফ ঘরে লোকিয়ে প্রাণে বাচে।আলিফকে মারার জন্য কিশোর গ্যাংএর অস্ত্র সহ মহড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র আতংক বিরাজ করছে।
ভিডিওতে এক কিশোরকে পিস্তল দিয়ে গুলি করবে বলে বিকট শব্দে চিৎকার করে বলতে শুনা যায়।
এই ঘটনায় মোশাররফ হোসাইন এর স্ত্রী সোহেনা ২৬ এপ্রিল শনিবার বাদী হয়ে সাতজন ইভটিজারকে বিবাদী গংদের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় অভিযোগ দাখিল করেন।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল রাজ্জাকের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ইতিমধ্যে ঘটনার ভিডিওটি দেখেছি, অভিযোগও পেয়েছি এসআই রাম কানাইকে এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মোশাররফ এর স্ত্রী বলেন আমরা আতঙ্কে দিন যাপন করছি আমি এমন ভয়ংকর ঘটনা জীবনে কখনো দেখি নাই এবং এমন ঘটনার মুখোমুখি হবো ভাবি নাই, আমি এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই।
ঘটনা ঘটার মুহূর্তে প্রবাসী মোশারফ এর স্ত্রী ট্রিপল লাইনে কল দিয়ে পুলিশের শরণাপন্ন হলে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বখাটেদের কি খুঁজে পাইনি, তবে সেখানে প্রচুর মহিলা পুরুষ সকল শ্রেণীর মানুষ গভীর উৎকণ্ঠায় ছিলেন।
নবীনগর থানার এস আই বিল্লাল ও তার সহযোগী সহ সার্বিক পরিস্থিতি উপলব্ধি করেন এবং ঘটনাস্থলের কিছু বিবরণ লিপিবদ্ধ করে নিয়ে আসেন।
এই রিপোর্ট লিখতে গিয়ে ঘটনাস্থলে আশেপাশের লোকজনের নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে উপস্থিত সকলেই বলেন এমন ঘটনা তারা কখনো দেখে নাই, এই ঘটনা তাদের কল্পনার বাইরে।
তারা আরো বলেন, যে পরিবেশ দেখেছি যেকোনো মুহূর্তে ভয়াবহ কিছু ঘটে যেতে পারে জরুরী ভিত্তিতে এই বিষয়টির সমাধান হওয়া উচিত বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।