Dhaka 11:04 am, Friday, 18 July 2025

ডিমলায় স্কুল ভবন ধসে শিক্ষিকা ও শিশুর আহত

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৮নং ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবন ধসে সহকারী শিক্ষিকা রেহানা পারভীন ও তাঁর কোলের শিশু শাহাদাত হোসেন গুরুতর আহত হয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৪ এপ্রিল সকাল ৯.৩০ মিনিটের দিকে। হঠাৎ করেই বিদ্যালয়ের একটি কক্ষের ছাদের অংশ ভেঙে পড়ে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষিকা রেহানা পারভীন জানান, “আমি শ্রেণিকক্ষে আমার সন্তানকে নিয়ে অবস্থান করছিলাম, হঠাৎ বিকট শব্দে ছাদ ধসে পড়ে। আমি ও আমার শিশু মারাত্মকভাবে আহত হই। এ ভবনের অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, বারবার জানানো সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের এমন অবস্থায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপদে পাঠদান কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়। দ্রুত যদি সংস্কার বা নতুন ভবন নির্মাণ না করা হয়, তাহলে বড় ধরনের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।”

এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণ ও শিক্ষক-অভিভাবক মহলে চরম উদ্বেগ বিরাজ করছে। এলাকাবাসী দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভবনের পূর্ণাঙ্গ সংস্কার বা নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

অতিদ্রুত শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি, যাতে আরও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা না ঘটে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক এখনই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বরেন্দ্র সচেতন সমাজ’র উদ্যোগে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

ডিমলায় স্কুল ভবন ধসে শিক্ষিকা ও শিশুর আহত

Update Time : 08:01:14 pm, Friday, 25 April 2025

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৮নং ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবন ধসে সহকারী শিক্ষিকা রেহানা পারভীন ও তাঁর কোলের শিশু শাহাদাত হোসেন গুরুতর আহত হয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৪ এপ্রিল সকাল ৯.৩০ মিনিটের দিকে। হঠাৎ করেই বিদ্যালয়ের একটি কক্ষের ছাদের অংশ ভেঙে পড়ে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষিকা রেহানা পারভীন জানান, “আমি শ্রেণিকক্ষে আমার সন্তানকে নিয়ে অবস্থান করছিলাম, হঠাৎ বিকট শব্দে ছাদ ধসে পড়ে। আমি ও আমার শিশু মারাত্মকভাবে আহত হই। এ ভবনের অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, বারবার জানানো সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের এমন অবস্থায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপদে পাঠদান কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়। দ্রুত যদি সংস্কার বা নতুন ভবন নির্মাণ না করা হয়, তাহলে বড় ধরনের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।”

এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণ ও শিক্ষক-অভিভাবক মহলে চরম উদ্বেগ বিরাজ করছে। এলাকাবাসী দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভবনের পূর্ণাঙ্গ সংস্কার বা নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

অতিদ্রুত শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি, যাতে আরও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা না ঘটে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক এখনই।