
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাদিউল ইসলাম কারাগারে থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে সেই এলাকার জনগন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় গত এক মাস ধরে কারাগারে রয়েছেন তিনি । চেয়ারম্যান কারাগারে থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবাপ্রার্থীরা। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিকত্ব ও ওয়ারিশান সনদসহ নানা কাজে দেখা দিয়েছে জটিলতা। এসব কাজে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর বাধ্যবাধকতার কারণে সেবা নিতে আসাদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
জানা গেছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় কিশোরগঞ্জ সদর থানায় দায়েরকৃত মামলায় গত ২৫মার্চ রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন হাদিউল ইসলাম। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। দীর্ঘ এক মাস ধরে চেয়ারম্যান কারাগারে থাকায় দাপ্তরিক কাজে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। সেবা নিতে আসা গ্রহীতাদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন ভোগান্তি।
(২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ খোলা থাকলে সেখানে কেউ নেই। পাশেই সচিবের কক্ষে দুজন ইউপি সদস্য বসে আছেন। সেবা গ্রহীতারা বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে এসে ফিরে যাচ্ছেন।
সেবা নিতে আসা কয়েকজন জানান, চেয়ারম্যান না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নিবন্ধনসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর নিতে না পারায় অনেক কাজ আটকে রয়েছে। এছাড়া বিদেশগামী অনেকে চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত বিভিন্ন কাগজপত্র সময়মতো জমা দিতে না পারায় জটিলতায় পড়েছেন।
কয়েকজন ইউপি সদস্য বলেন, উন্নয়নমূলক সকল প্রকল্প আটকে রয়েছে। চেয়ারম্যান কারাগারে থাকায় এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে কাউকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বভার প্রদান করা হলে স্থবিরতা দূর হবে বলে আশাবাদী এলাবাসী।
ইউপি সচিব মোহাম্মদ সারওয়ার হাসান জানান, ইউনিয়ন পরিষদের সকল সেবা কার্যক্রম চেয়ারম্যানের ওপর নির্ভর করে। চেয়ারম্যান কারাগারে থাকায় দাপ্তরিক কাজে জটিলতা দেখা দিয়েছে। অচিরেই সমস্যা দূর হবে বলে তিনি আশা করছেন।
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.বিল্লাল হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিধি-মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।