
আর মাত্র ২দিন বাকী পবিত্র ঈদুল ফিতরের, হয়ত ২ দিন পরে পালিত হবে মুসলমানদের সর্ব বৃহত ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ঢাকা হতে বাড়ি ফিরছেন হাজার হাজার মানুষ। এর ফলে সড়ক ও নৌপথে যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। তবে গত ঈদের তুলনায় এবার যাত্রীদের ভোগান্তি কমেছে স্বস্তিতে যার যার গন্তব্যে ফিরছেন ঈদের ঘরমুখো যাত্রীরা।
২৮ মার্চ শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত রাজবাড়ী গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীদের চলাফেরা এবং ফেরি-লঞ্চে চাপ। পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতে বাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলের সাথে বহু সংখ্যক যাত্রী গন। একই চিত্র দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ও ফেরী ঘাটে দেখা যায় । প্রতিটি লঞ্চে যাত্রীদের ভিড় ছিল এবং অনেক ক্ষেত্রেই লঞ্চগুলো ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়ে পার হচ্ছে। এ বছর দৌলতদিয়া ঘাটে যানজট ও ভোগান্তির কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। যাত্রীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যে, ফেরি ও লঞ্চ থেকে নেমে দ্রুত গন্তব্যে চলে যাচ্ছেন।ঢাকা থেকে আসা যাত্রী আবুল বাসার বলেন, গত কয়েকটি ঈদের মত এবারও কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই বাড়িতে যাচ্ছি প্রিয়জনদের ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ।
হাবিব,মনির, জুয়েল, সিমলা বেগম ও অনেক যাত্রীরা বলেন এবার আমরা অনেক খুশি কারণ পথে যানজট নেই, এমনকি ফেরিঘাটেও কোনো সমস্যা হয়নি নেই দালাল, ছিনতাই কারীদের হয়রানি। একই ভাবে অনেক যাত্রীরা জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ফেরিঘাটে ভোগান্তির সমস্যা অনেকটাই কমেছে। এবারও কোনো সমস্যা হয়নি।
দৌলতদিয়া ঘাট পুলিশ ফাড়ীর অফিসার ইনচার্জ বলেন এ বছর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ঈদে ঘরমুখো ফেরত যাত্রীরা স্বস্তিতে ফিরতে পারেন সেই ব্যাবস্হা করা হয়েছে এবং কোন ভাবে যানজটের সৃষ্টি না হয় সেই দিকেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে । এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাহিদুর রহমান বলেন এবার ঈদুল ফিতরে দৌলতদিয়া ঘাটে কঠোর নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে, চুড়ি, ডাকাতি, ছিনতাইকারী ও অঞ্জান পার্টি যাতে যাত্রীদের হয়রানি না করতে পারে সেই দৌলতদিয়া ঘাটে বেশ কয়েকটি জায়গায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যাবস্হা করা হয়েছে।