Dhaka 8:01 am, Friday, 18 July 2025

খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা রুহুল মোছাদ্দেক এর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ রহুল মোছাদ্দেক এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে তদন্তের নামে হয়রানী ও লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে ডিমলা উপজেলায় সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হছে।

বুধবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় ডিমলা উপজেলার বিজয় চত্ত্বরে উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে ঘণ্টা ব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

নীলফামারীর জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলের মুখপাত্র ও ডিমলা উপজেলার জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান রাশেদ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি মোসাহেদুল ইসলাম মানিক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নীলফামারীর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল প্রধান, যুগ্ম সদস্য সচিব জাফর হোসেন জাকির প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার দুর্নীতির খবর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছাপানো হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নীলফামারী জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা রুহুল মোছাদ্দেকের বিরুদ্ধে গত ১৬ মার্চ ২০২৫ তারিখে নীলফামারী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ১৭/০৩/২০২৫ ইং তারিখে কিশোরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। কিশোরগঞ্জ খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অঃ দাঃ) মো. তৌহিদুর রহমানকে ২৪/০৩/২৫ইং তারিখে ডিমলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কক্ষে তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন। তদন্তের দিন সেখানে চারজন অভিযোগকারী উপস্থিত হই। তদন্ত চলার সময় গিয়ে দেখা যায় দুইশতাধিক বহিরাগত সেখানে উপস্থিত হয়ে বসে আছে। সরকারী খাদ্য গুদাম সংরক্ষিত এলাকা হলেও কিভাবে আওয়ামী দোসর ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার লোকজন সেখানে উপস্থিত বিষয়টি বোদগম্য নয় বলে বক্তারা দাবি করেন। তদন্তের নামে প্রহসণ, একই পদস্থ কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করা যায় কি-না, তদন্তের নামে হেনস্তা করা ও সংরক্ষিত এলাকায় পূর্বপরিকল্পিত মব জাস্টিস পরিবেশ তৈরি করার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তাঁরা।
বক্তারা আরও বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে যদি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আন্দোলনের ছবি দেখাতে হয় তবে সাধারণ মানুষ কেমন করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলবে? কেমন করে দেশ থেকে দুর্নীতি, লুটপাট, অন্যায়, অনিয়ম দুর হবে? শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালায়ন করলেও তার দোসরা এখনও ঘাপটি মেরে জনগণের রক্ত শোসন করতে। খাদ্য কর্মকর্তার তদন্তে যা পরিরক্ষিত হয়েছে।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুর্নীতিগ্রস্ত ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা রুহুল মোছাদ্দেককে অপসারণ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন বক্তারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বরেন্দ্র সচেতন সমাজ’র উদ্যোগে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা রুহুল মোছাদ্দেক এর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

Update Time : 11:27:32 pm, Wednesday, 26 March 2025

নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ রহুল মোছাদ্দেক এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে তদন্তের নামে হয়রানী ও লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে ডিমলা উপজেলায় সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হছে।

বুধবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় ডিমলা উপজেলার বিজয় চত্ত্বরে উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে ঘণ্টা ব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

নীলফামারীর জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলের মুখপাত্র ও ডিমলা উপজেলার জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান রাশেদ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি মোসাহেদুল ইসলাম মানিক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নীলফামারীর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল প্রধান, যুগ্ম সদস্য সচিব জাফর হোসেন জাকির প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার দুর্নীতির খবর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছাপানো হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নীলফামারী জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা রুহুল মোছাদ্দেকের বিরুদ্ধে গত ১৬ মার্চ ২০২৫ তারিখে নীলফামারী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ১৭/০৩/২০২৫ ইং তারিখে কিশোরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। কিশোরগঞ্জ খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অঃ দাঃ) মো. তৌহিদুর রহমানকে ২৪/০৩/২৫ইং তারিখে ডিমলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কক্ষে তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন। তদন্তের দিন সেখানে চারজন অভিযোগকারী উপস্থিত হই। তদন্ত চলার সময় গিয়ে দেখা যায় দুইশতাধিক বহিরাগত সেখানে উপস্থিত হয়ে বসে আছে। সরকারী খাদ্য গুদাম সংরক্ষিত এলাকা হলেও কিভাবে আওয়ামী দোসর ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার লোকজন সেখানে উপস্থিত বিষয়টি বোদগম্য নয় বলে বক্তারা দাবি করেন। তদন্তের নামে প্রহসণ, একই পদস্থ কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করা যায় কি-না, তদন্তের নামে হেনস্তা করা ও সংরক্ষিত এলাকায় পূর্বপরিকল্পিত মব জাস্টিস পরিবেশ তৈরি করার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তাঁরা।
বক্তারা আরও বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে যদি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আন্দোলনের ছবি দেখাতে হয় তবে সাধারণ মানুষ কেমন করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলবে? কেমন করে দেশ থেকে দুর্নীতি, লুটপাট, অন্যায়, অনিয়ম দুর হবে? শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালায়ন করলেও তার দোসরা এখনও ঘাপটি মেরে জনগণের রক্ত শোসন করতে। খাদ্য কর্মকর্তার তদন্তে যা পরিরক্ষিত হয়েছে।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুর্নীতিগ্রস্ত ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা রুহুল মোছাদ্দেককে অপসারণ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন বক্তারা।