Dhaka 2:51 pm, Friday, 11 July 2025

বুড়িশ্বর(পায়রা) নদী হতে জেএস এন্টারপ্রাইজের অবৈধ বালু উত্তোলন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভাঙ্গন কবলিত মানুষ

নিজেদের রেকডিয় সম্পত্তি নদীর ভাঙ্গনের কবলে চলে গেছে। সরকারী ভাবে নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে ফেলানো হচ্ছে সারে সাতশত কোটি টাকার প্রকল্প, আশায় বুক বেঁধেছে দুই পাড়ের মানুষ। আগেই তাদের জমিজমা নদীতে চলে গিয়েছে বার বার পরিবর্তন করতে হয়েছে বসত বাড়ী।নদীর পাড়েই সরকারী জমিতে বসবাস করে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

নদীতে যখন সরকারী ভাবে ভাঙ্গন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ও  ব্লক ফেলাচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ঠিক সেই মুহুর্তে চলছে অসাধু বালু ব্যবসায়ী জেএস এন্টারপ্রাইজের প্রত্যহ হাজার হাজার ফুট বালু কেটে বিক্রি করার প্রতিযোগীতা। কারো অনুরোধের তোয়াক্কা করছেনা বালু মহল ইজাদার মোঃ জহির জেএস এন্টারপ্রাইজ নামের ড্রেজার লাগিয়ে সকাল থেকে রাত্রি কখনো সারারাত কেটে সাবার করছে বালু।

সরকারী বালু মহল ইজারার নিয়ম অনুসারে যে সকল মৌজা থেকে বালু উত্তোলন করার কথা সেখান থেকে অনেক উত্তরে পুর্বে আমতলীর চাওড়া পশ্চিমে বরগুনার গাবতলা জাঙ্গালিয়ার মাঝখান থেকে বালু নিয়ে যাচ্ছে জেএস এন্টারপ্রাইজ।

অনুসন্ধানে দেখা যায় লাল সবুজ লোড ড্রেজার,আরফান লোড ড্রেজার, জারিন লোড ড্রেজার,জারিন প্যাকেজ,চরকগাছিয়া প্যাকেজ,জহির লোড ড্রেজারের মাধ্যমে এক কোটি তেতাল্লিশ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে বাহাত্তর লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার বালু অবৈধ ভাবে উত্তোলন করে লাভবান হয়েছে প্রতিষ্ঠান গুলো।

স্থানীয় দুই পাড়ের মানুষ বালু উত্তোলনে নিষেধ করলে তাদেরকে হুমকি দুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে জেএস এন্টারপ্রাইজ নামের ইজারাদার মোঃ জহির। কেহ কেহ জোড়ালো ভাবে নিষেধ করলেও চাঁদাবাজি মামলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে জহির। জহিরের ভয় স্থানীয়রা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।

সার্ভেয়ার কর্তৃক জমির সীমানা নির্ধারন করে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এভাবে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা হতে বালু উত্তোলন করলে দু পাড়ের মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং সরকারের সাতশত কোটি টাকার প্রকল্পে কোন কাজে আাসবেনা।

স্থানীয় জেলে আবুল কাশেম বলেন আমরা নিষেধ করলে আমাদেরকে দলীয় প্রভাব দেখায় আগে আওয়ামী লীগের জহির এখন সুবিদা আদায়ের জন্য বিএনপি পরিচয় দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। নিয়মানুসারে বালু মহলের কেহই জেলেদের মাছ শিকারে কোন ভাবেই বাঁধা সৃষ্টি করতে পারবেনা বলা হলেও জহির তার দলবল নিয়ে মৎস জীবীদের ধমকিয়ে মাছ নিয়ে গিয়েছে জেলেদের কাছ হতে। এবং নদীতে মাছ ধরতে হলে চাঁদা দাবী করেছে বলে বক্তব্য প্রধান করেছে স্থানীয় জেলে পরিবার গুলোর।

জেলে আল আমিন বলেন আমরা জহিরের অবৈধ বালু কাটায় নিষেধ করলে মারধর করার হুমকি দেয় জেএস এন্টারপ্রাইজ মালিক জহির। জহির একছত্রভাবে নদীতে প্রভাব বিস্তার করেছে তার অবৈধ বালু ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য দু পাড়ের মানুষদের চাঁদাবাজী মামলায় জড়ানোর জন্য হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে।

জহিরের অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য বরগুনা নির্বাহী অফিসারের বরাবর গন সাক্ষর জমা দিলেও কিসের ইঙ্গিতে বন্ধ হচ্ছেনা বালু উত্তোলনের কর্মযজ্ঞ সেই প্রশ্ন এলাকার জনসাধারণের।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

দীর্ঘদিনের অবহেলায় জনদুর্ভোগ সিঙ্গারবিল টু কাশিনগর সড়ক

বুড়িশ্বর(পায়রা) নদী হতে জেএস এন্টারপ্রাইজের অবৈধ বালু উত্তোলন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভাঙ্গন কবলিত মানুষ

Update Time : 01:19:41 pm, Wednesday, 26 March 2025

নিজেদের রেকডিয় সম্পত্তি নদীর ভাঙ্গনের কবলে চলে গেছে। সরকারী ভাবে নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে ফেলানো হচ্ছে সারে সাতশত কোটি টাকার প্রকল্প, আশায় বুক বেঁধেছে দুই পাড়ের মানুষ। আগেই তাদের জমিজমা নদীতে চলে গিয়েছে বার বার পরিবর্তন করতে হয়েছে বসত বাড়ী।নদীর পাড়েই সরকারী জমিতে বসবাস করে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

নদীতে যখন সরকারী ভাবে ভাঙ্গন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ও  ব্লক ফেলাচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ঠিক সেই মুহুর্তে চলছে অসাধু বালু ব্যবসায়ী জেএস এন্টারপ্রাইজের প্রত্যহ হাজার হাজার ফুট বালু কেটে বিক্রি করার প্রতিযোগীতা। কারো অনুরোধের তোয়াক্কা করছেনা বালু মহল ইজাদার মোঃ জহির জেএস এন্টারপ্রাইজ নামের ড্রেজার লাগিয়ে সকাল থেকে রাত্রি কখনো সারারাত কেটে সাবার করছে বালু।

সরকারী বালু মহল ইজারার নিয়ম অনুসারে যে সকল মৌজা থেকে বালু উত্তোলন করার কথা সেখান থেকে অনেক উত্তরে পুর্বে আমতলীর চাওড়া পশ্চিমে বরগুনার গাবতলা জাঙ্গালিয়ার মাঝখান থেকে বালু নিয়ে যাচ্ছে জেএস এন্টারপ্রাইজ।

অনুসন্ধানে দেখা যায় লাল সবুজ লোড ড্রেজার,আরফান লোড ড্রেজার, জারিন লোড ড্রেজার,জারিন প্যাকেজ,চরকগাছিয়া প্যাকেজ,জহির লোড ড্রেজারের মাধ্যমে এক কোটি তেতাল্লিশ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে বাহাত্তর লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার বালু অবৈধ ভাবে উত্তোলন করে লাভবান হয়েছে প্রতিষ্ঠান গুলো।

স্থানীয় দুই পাড়ের মানুষ বালু উত্তোলনে নিষেধ করলে তাদেরকে হুমকি দুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে জেএস এন্টারপ্রাইজ নামের ইজারাদার মোঃ জহির। কেহ কেহ জোড়ালো ভাবে নিষেধ করলেও চাঁদাবাজি মামলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে জহির। জহিরের ভয় স্থানীয়রা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।

সার্ভেয়ার কর্তৃক জমির সীমানা নির্ধারন করে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এভাবে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা হতে বালু উত্তোলন করলে দু পাড়ের মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং সরকারের সাতশত কোটি টাকার প্রকল্পে কোন কাজে আাসবেনা।

স্থানীয় জেলে আবুল কাশেম বলেন আমরা নিষেধ করলে আমাদেরকে দলীয় প্রভাব দেখায় আগে আওয়ামী লীগের জহির এখন সুবিদা আদায়ের জন্য বিএনপি পরিচয় দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। নিয়মানুসারে বালু মহলের কেহই জেলেদের মাছ শিকারে কোন ভাবেই বাঁধা সৃষ্টি করতে পারবেনা বলা হলেও জহির তার দলবল নিয়ে মৎস জীবীদের ধমকিয়ে মাছ নিয়ে গিয়েছে জেলেদের কাছ হতে। এবং নদীতে মাছ ধরতে হলে চাঁদা দাবী করেছে বলে বক্তব্য প্রধান করেছে স্থানীয় জেলে পরিবার গুলোর।

জেলে আল আমিন বলেন আমরা জহিরের অবৈধ বালু কাটায় নিষেধ করলে মারধর করার হুমকি দেয় জেএস এন্টারপ্রাইজ মালিক জহির। জহির একছত্রভাবে নদীতে প্রভাব বিস্তার করেছে তার অবৈধ বালু ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য দু পাড়ের মানুষদের চাঁদাবাজী মামলায় জড়ানোর জন্য হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে।

জহিরের অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য বরগুনা নির্বাহী অফিসারের বরাবর গন সাক্ষর জমা দিলেও কিসের ইঙ্গিতে বন্ধ হচ্ছেনা বালু উত্তোলনের কর্মযজ্ঞ সেই প্রশ্ন এলাকার জনসাধারণের।