নীলফামারীর ডিমলায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছাত্রকে অপহরনের চেষ্টাকালে জনতার হাতে আটক ভূয়া ডিবি পুলিশের সদস্যকে পুলিশের হাতে সোপর্দ । সারারাত দেন দরবার শেষে অবশেষে ছাড়া পেল আটক ভুয়া ডিবি পুলিশ অফিসার ।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলায় গয়াবাড়ি ইউনিয়নের মতির বাজার নামক স্থানে রাত ৮টার দিকে ৪ ব্যক্তি মটরসাইকেল করে যান। সেখানে মতির বাজারে ইমরানের ফ্লাক্সির দোকানের সামন থেকে গয়াবাড়ী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মফিজ উদ্দিনের ছেলে এইচ,এস,সি পড়ুয়া ছাত্র মুরাদ (১৮) কে টানা হ্যাচরা করে মটরসাইকেলে তুলে অপহরণের চেষ্টা করে।

এ সময় মতির বাজারের লোকজন এসে বাধা প্রদান করে তখন ঐ তিন যুবক নিজেদেরকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দেন। উপস্থিত লোকজন ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারীদের চ্যালেঞ্জ করলে তাদের মধ্যে ৩ জন পালিয়ে যায়। তাদের মধ্যে মিলন ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তি কে লোকজন আটক করে গণধোলাই দিয়ে ডিমলা থানায় সোপর্দ করেন। আটককৃত মিলন ইসলাম খালিশা চাপানী ইউনিয়নের হাজিপাড়া গ্রামের মৃত মোখলেছার রহমান (কালা মেম্বার)এর ছেলে। ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারী মিলন ইসলাম একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতার নিকট আত্মীয় হওয়ায় সোমবার রাতভর দেন দরবার শেষে মঙ্গলবার ভোরে তাকে থানা পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেয়া হয়। মতি বাজারের প্রত্যক্ষদর্শী আঃ ছাত্তারের ছেলে জামিনুর রহমান জানান,সোমবার রাত সাড়ে ৮ টায় ৪ ব্যক্তি মটরসাইকেলে করে মতির বাজারে আসে। তাদের মধ্যে ৩ জন ১৮ বছর বয়সী এক ছাত্রকে টানা হ্যাচড়া করে মটরসাইকেলে ওঠানোর চেষ্টা করে। ওই সময় আমি সহ লোকজন ছুটি দিয়ে তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা নিজেকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দেন। তখন আমরা তাদের পরিচয় পত্র দেখতে চাইলে তাদের মধ্য হতে ৩ জন কৌশলে পালিয়ে যায়। এ সময় মিলন নামের ডিবি পুলিশ পরিচয় দানকারী ১ জনকে আটক করলে উত্তেজিত জনতা গণধোলাই দেন।

খবর পেয়ে ডিমলা থানার এস আই আবুল কালাম ডিবি পুলিশ ভুয়া সদস্য মিলনকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে ডিমলা থানায় নিয়ে যায় । কাচা বাজার বিক্রেতা মজিদুল ইসলাম জানান,রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মতির ৪ জন অপরিচিত লোক নিজেদের ডিবি পুলিশের সদস্য পরিচয় দিয়ে ১৭ বয়সী এক ছেলেকে জোরপূর্বক মটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে সন্দেহ হলে তাদের কাছে পরিচয় পত্র দেখতে চাইলে ৩ জন কৌশলে পালিয়ে যায়। মিলন নামের একজন ভুয়া ডিবি পুলিশ আটকা পড়লে জনতা গণধোলাই দিয়ে।তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ।

ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফজলে এলাহী জানান,মোবাইল ফোনে সংবাদ পাই যে মতির বাজারে স্থানীয় লোকজন ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক করে মারপিট করছে খবর পেয়ে এসআই আবুল কালাম কে দিয়ে মিলন নামের একজন পল্লী চিকিৎসককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। উদ্ধারকৃত মিলনের সদ্য বিবহিত মেয়েকে মতির বজার এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে কলেজের এইচ এস সি পড়ুয়া মুরাদ হোসেন ফোনে উত্যাক্ত করার সংক্রান্ত ঘটনার জেরে ঘটনার সূত্রপাত। উভয় পক্ষের লিখিত মীমাংসার সূত্রে মিলনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।