Dhaka 5:29 am, Sunday, 7 December 2025

দৌলতদিয়ায় নিষিদ্ধপল্লিতে ভেজাল মদ খেয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ যৌনপল্লি রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া। এই যৌণপল্লিতে অবৈধ ভাবে বাংলা মদ ব্যবসায়ী মদ লাল মিয়া ওরফে ছোট লাল মিয়ার বাড়ী থেকে ভেজাল মদ খেয়ে বিপ্লব ঘরামি (৪০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। নিহত ব্যক্তি মেহেরপুর জেলাধীন গাংনি থানার কাজিপাড়া গ্রামের মৃত হারেজ ঘরামির ছেলে। গতকাল গভীর রাতে যৌনপল্লির মদ লাল মিয়া ওরফে ছোট লাল মিয়ার নিজ বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (১৩ই নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন।
উল্লেখ্য, বিগত ১৭ বছর স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের সময়ে তৎকালীন গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দ্বিতীয় খুনি এরশাদ সিকদার খ্যাত নুরুল ইসলাম মন্ডলের ছত্রছায়ায় অবৈধ ভাবে ভেজাল বাংলা মদ তৈরী করে যৌণপল্লিতে একক আদিত্য বিস্তারের মাধ্যমে মদের ডিলার এবং যৌনপল্লির প্রত্যেকটি মদের দোকানে দোকানে কালো বাজারে মদ বিক্রি করে আসছেন। সেইসাথে প্রতি রাতে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও কিছু অসাধু পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতিটি মদের থেকে মাসিক ২০০০ টাকা করে মাসহারা আদায় করতেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের পতন হলেও, এখন সেই ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছেন মদ লাল মিয়া ওরফে ছোট লাল মিয়া। এখনও সুকৌশলে প্রতিটি মদের দোকান থেকে ২০০০ টাকা করে মাসিক মাসোহারা আদায় করছেন এই অবৈধ ভেজাল বাংলা মদ ব্যবসায়ী মদ লাল মিয়া ওরফে ছোট লাল মিয়া।

এছাড়াও জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে,যৌনপল্লিতে কুখ্যাত এই অবৈধ বাংলা মদের ব্যবসায়ী মদ লাল মিয়া ওরফে ছোট লাল মিয়ার কোন মদ বিক্রির পারটিম নেই। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে তিনি এই মদের ব্যবসা করছেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মদ লাল মিয়া ওরফে ছোট লাল মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমি কোন ভেজাল মদ তৈরী করিনা এবং আমার বাড়ীতে কোন ভেজাল মদ বিক্রি হয় না। আমি ভাল মদ বিক্রি করি। আর প্রতিটি দোকান থেকে মাসিক মাসোহারা নেওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি আরও বলেন,আমি আওয়ামী লীগের সময়ে প্রতিটি দোকান থেকে মাসিক মাসোহারা নিয়েছি কিন্তু এখন নেই না।
এবিষয়ে গোয়ালন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান,এবিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

নাগরপুরে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক সম্বলিত তোরণ নির্মাণ করলেন সাবেক শিবির নেতা মো. কোরবান আলী

দৌলতদিয়ায় নিষিদ্ধপল্লিতে ভেজাল মদ খেয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

Update Time : 07:24:58 pm, Thursday, 13 November 2025

এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ যৌনপল্লি রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া। এই যৌণপল্লিতে অবৈধ ভাবে বাংলা মদ ব্যবসায়ী মদ লাল মিয়া ওরফে ছোট লাল মিয়ার বাড়ী থেকে ভেজাল মদ খেয়ে বিপ্লব ঘরামি (৪০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। নিহত ব্যক্তি মেহেরপুর জেলাধীন গাংনি থানার কাজিপাড়া গ্রামের মৃত হারেজ ঘরামির ছেলে। গতকাল গভীর রাতে যৌনপল্লির মদ লাল মিয়া ওরফে ছোট লাল মিয়ার নিজ বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (১৩ই নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন।
উল্লেখ্য, বিগত ১৭ বছর স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের সময়ে তৎকালীন গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দ্বিতীয় খুনি এরশাদ সিকদার খ্যাত নুরুল ইসলাম মন্ডলের ছত্রছায়ায় অবৈধ ভাবে ভেজাল বাংলা মদ তৈরী করে যৌণপল্লিতে একক আদিত্য বিস্তারের মাধ্যমে মদের ডিলার এবং যৌনপল্লির প্রত্যেকটি মদের দোকানে দোকানে কালো বাজারে মদ বিক্রি করে আসছেন। সেইসাথে প্রতি রাতে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও কিছু অসাধু পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতিটি মদের থেকে মাসিক ২০০০ টাকা করে মাসহারা আদায় করতেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের পতন হলেও, এখন সেই ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছেন মদ লাল মিয়া ওরফে ছোট লাল মিয়া। এখনও সুকৌশলে প্রতিটি মদের দোকান থেকে ২০০০ টাকা করে মাসিক মাসোহারা আদায় করছেন এই অবৈধ ভেজাল বাংলা মদ ব্যবসায়ী মদ লাল মিয়া ওরফে ছোট লাল মিয়া।

এছাড়াও জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে,যৌনপল্লিতে কুখ্যাত এই অবৈধ বাংলা মদের ব্যবসায়ী মদ লাল মিয়া ওরফে ছোট লাল মিয়ার কোন মদ বিক্রির পারটিম নেই। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে তিনি এই মদের ব্যবসা করছেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মদ লাল মিয়া ওরফে ছোট লাল মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমি কোন ভেজাল মদ তৈরী করিনা এবং আমার বাড়ীতে কোন ভেজাল মদ বিক্রি হয় না। আমি ভাল মদ বিক্রি করি। আর প্রতিটি দোকান থেকে মাসিক মাসোহারা নেওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি আরও বলেন,আমি আওয়ামী লীগের সময়ে প্রতিটি দোকান থেকে মাসিক মাসোহারা নিয়েছি কিন্তু এখন নেই না।
এবিষয়ে গোয়ালন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান,এবিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।